প্রতিদিনের বাংলাদেশ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:২১ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৮ পিএম
বহু দিন ও রাতের অক্লান্ত প্রয়াসের সোনালি ফসল হয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশ এখন পাঠকের হাতে হাতে। ৮ জানুয়ারি রবিবার কুয়াশা মোড়ানো ভোরে নতুন সময়ের, নতুন প্রজন্মের এই দৈনিকের যাত্রা শুরু হয়। আত্মপ্রকাশের দিনেই অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে পাঠকের কাছ থেকে। ছাপানো প্রায় সব কপি বিক্রি হয়ে যায় বেলা গড়ানোর আগেই। পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসা পত্রিকাটিকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।
প্রথম দিনে ১৬ পৃষ্ঠার মূল পত্রিকার সঙ্গে ১৬ পৃষ্ঠার উদ্বোধনী আয়োজন মিলিয়ে মোট ৩২ পৃষ্ঠার ঝকঝকে কাগজ বাজারে ছেড়েছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রথম সংস্করণ ছাপার পর ভোর ছয়টার দিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায় প্রতিদিনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেটের বিভিন্ন জেলায় দুপুরের আগেই সব ছাপা কাগজের সংখ্যা শেষ হয়ে যায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পল্টন, মতিঝিলসহ অন্যান্য এলাকায় সব সংখ্যা শেষ হয়ে যায় সকাল সকাল। দেশের কয়েকটি স্থানে নতুন পত্রিকার গন্ধ নিতে না পারার আক্ষেপও এসেছে পাঠকের কাছ থেকে।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পাঠকরা। তালিকায় রয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও। প্রথম দিনের প্রধান প্রতিবেদন ‘লাল তালিকায় ১০০ এমপি’ ছিল সারা দিনের আলোচনায়।
প্রতিদিনের বাংলাদেশের মার্জিত পৃষ্ঠাসজ্জা, সংবাদ, বিশ্লেষণ এবং কাগজের মান প্রশংসা কুড়িয়েছে সব শ্রেণির পাঠকের। পত্রিকাটি প্রকাশের প্রথম দিনে অনলাইনে চার হাজারের বেশি নতুন পাঠক যুক্ত হয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে একজন পাঠক বলেন, ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রথম দিনের প্রধান সংবাদটি চমৎকার ব্রেকিং। এটি জনমানুষের সংবাদ। আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
কক্সবাজারের সংবাদপত্র বিক্রয়কারী মোহাম্মদ হাশেম বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে প্রতিদিনের বাংলাদেশ হাতে পাই। হকার ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই আমার কাছ থেকে পত্রিকাটি সংগ্রহ করেছেন। কক্সবাজারের সব পত্রিকা সকাল সকালই শেষ হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস পত্রিকাটি আরও ভালো করবে।’
বাংলাদেশ সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ বাজারে আসার প্রথম দিনই পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। দেশের সংবাদপত্র এজেন্টরাও পত্রিকাটির প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় সব সংখ্যা বিক্রি হয়ে গেছে।’
প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘পাঠকের ব্যাপক সাড়া দেখে আমরা অভিভূত। এই ভালোবাসা কাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে প্রতিদিনের বাংলাদেশের কর্মীদের। ছাপা কাগজ বাজারে যাওয়ার পরপরই মাল্টিমিডিয়া এবং অনলাইনে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। পাঠকদের ভালোবাসার প্রতিদান আমরা ভালো কাগজ করার মাধ্যমে দিতে চাই।’