প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছ থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে
খোলা চিঠি দিয়েছে ২১টি আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংগঠনগুলোর মধ্যে কমিটি টু প্রটেক্ট
জার্নালিস্টস (সিপিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস, ফ্রি
মিডিয়া মুভমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টও রয়েছে।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ই-মেইলে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আব্দুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চিঠির অনুলিপি (সিসি) ই-মেইলে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সিপিজের ওয়েবসাইটে
গতকাল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই খোলা চিঠিটি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারিকালে
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে সরকারি দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করার মাধ্যমে
রোজিনা ইসলাম মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করেন।
‘মূলত, এ জন্য তিনি প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। তিনি
ঔপনিবেশিক আমলের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধির আওতায় তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।’
অবিলম্বে তাঁকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হেনস্তা-নির্যাতনের শিকার হন। তাঁকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে
রাখা হয়।
পরে তাঁকে শত বছরের পুরোনো ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস
অ্যাক্টে’ গ্রেপ্তার
দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সাত দিন কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপরেও তাকে
আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট
তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল।
২০২২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অ্যান্টি
করাপশন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন।
সূত্র : কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস