× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রথম আলোর সংবাদকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩১ পিএম

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২২:২১ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে (২৬ মার্চ) দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। সমাজের সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরাই গণমাধ্যমের কাজ, আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জনমানসে গভীর প্রভাব বিস্তার করে বলে সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। কিন্তু, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে একটি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি উক্ত পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রেক্ষাপটে একজন শিশুর ছবি এবং সেই ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে পরিষ্কারভাবে উপহাস করা হয়েছে। একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থি। তদুপরি, উদ্ধৃতিটির ভাষামান বিবেচনা করলে তা কোনোভাবেই দিনমজুরের বক্তব্য বলে মনে হয় না। বরং এটি ওই দিনমজুরের কণ্ঠে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বক্তব্য বলেই প্রতীয়মান হয়। অন্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে ইতোমধ্যে জানা সম্ভব হয়েছে যে, ওই শিশুকে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। বস্তুত এক্ষেত্রে শিশুটিকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তার অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বানোয়াট ছবি ও বক্তব্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার এক কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মহান স্বাধীনতাকে যেভাবে বিদ্রূপ করা হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, ‘পরবর্তীকালে যদিও পত্রিকাটি তাদের ভুল স্বীকার করে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কিন্তু আনুপূর্বিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায় এটিকে নিছক একটি ভুল হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং এই ঘটনা যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণের অপতৎপরতার অংশ, এরূপ মনে করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কেননা এ ধরনের প্রতিবেদন জনমনে রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণার জন্ম দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। স্বাধীনতার অব্যবহিতকাল পরে ১৯৭৪ সালে বাসন্তী নামের এক নারীকে জাল পরিয়ে সাজানো ছবি তুলে দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। ‘দৈনিক প্রথম আলো’র তৎপরতা ১৯৭৪-এর ঘটনার ধারাবাহিকতা বলে প্রতীয়মান হয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল অনুরূপ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আলোচ্য পত্রিকাটি গণমাধ্যমের নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে ২০০৭ সালে অনির্বাচিত সামরিক শাসনের পক্ষ নিয়ে বি-রাজনীতিকরণের পক্ষে নির্লজ্জভাবে কলম ধরেছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, এই চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য অনুধাবন করুন ও প্রয়োজনবোধে তুলে ধরুন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন কোনোক্রমেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হতে পারে না। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। তবে এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

বিবৃতিদাতারা হলেন- ইউজিসি সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহাম্মদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, একাত্তর টেলিভিশন প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক নতুন সময় এমিরেটাস এডিটর নাইমুল ইসলাম খান, ডিবিসি নিউজ প্রধান সম্পাদক মো. মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, নাট্যকার অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, পরিসংখ্যানবিদ অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. নোমান, বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন শিবলু,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, সম্প্রীতির বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক নাট্যব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, সদস্য সচিব ডাক্তার মামুন আল মাহতাব, নাট্যব্যক্তিত্ব তারানা হালিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, প্রকৃচি’র সদস্য-সচিব ডাক্তার এহতেশামুল হক দুলাল, প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হোসেন এবং সাবেক সভাপতি, অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা