জিআইজেএনের তালিকায় প্রতিদিনের বাংলাদেশের দুই প্রতিবেদন
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১২ এএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৩২ এএম
গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের (জিআইজেএন) বর্ষসেরা তালিকায় প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন স্থান পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পত্রিকাটির সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেছেন, এ অর্জনে আমরা ভীষণভাবে গৌরবান্বিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। আমি মনে করি, এ স্বীকৃতি ও অর্জন শুধু প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর নয়, দেশের সব সাংবাদিকের। আমার বিশ্বাস, এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নবীনগরের কথা’র ভার্চুয়াল টকশোর ২৫৭তম পর্বে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিআইজেএনের বর্ষসেরা তালিকায় প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর দুটি প্রতিবেদন স্থান পাওয়ায় নবীনগরের কথা এ টকশোর আয়োজন করে।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর নবীনগর প্রতিবেদক ও নবীনগরের কথার সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় টকশোয় আলোচক ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য, প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর চিফ রিপোর্টার আজিজুল পারভেজ, মধ্যাঞ্চলীয় ব্যুরোপ্রধান সাইফুল হক মোল্লা দুলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল।
মুস্তাফিজ শফি বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের পুরো টিমের অর্জন। আমি মনে করি, একটি ভালো পত্রিকা কখনোই বেশি দূর যেতে পারবে না, যদি সেই পত্রিকার পুরো টিম ভালোভাবে কাজ না করে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর পুরো টিম শুরু থেকেই ভালো কাজ করায় আমরা আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি পেয়েছি। সেজন্য আমার সব সহযোদ্ধাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এ স্বীকৃতির জন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজবংশী রায় ও অতিথি প্রতিবেদক শরীফুল রুকনকে। কারণ এ দুই প্রতিবেদকের দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বেশ সাড়া ফেলেছে। এমনকি রিপোর্ট দুটি একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকতার নানা দিক তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা অনেকটা কমে গেছে। আসলে অনুসন্ধানের জায়গাটিতে আমরা সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে আমরা (প্রতিদিনের বাংলাদেশ) শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছিলাম খবরের পেছনের খবরকে বেশি গুরুত্ব দেব। আর সেজন্যই আজ আমরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি লাভ করেছি।
ভারতীয় সাংবাদিক শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, সত্য তুলে ধরাই সাংবাদিকের প্রধান কাজ। কিন্তু সেই সত্য সংবাদপত্রে তুলে ধরা আজ বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রকাশিত হওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের বাংলাদেশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে সত্য সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছে। আর সত্যটা তুলে ধরতে পেরেছে বলেই এরকম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ভারতীয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আমি সেজন্য আপনাদের অভিবাদন জানাই।
এ স্বীকৃতিতে বাঙালি হিসেবে তিনি নিজেকেও গর্বের অংশীদার উল্লেখ করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, আপনাদের বহুলপ্রচারিত প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর যেকোনো একটি পাতার ছোট্ট এক কোনায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের (ভারত) বাংলা ভাষাভাষী ত্রিপুরাবাসীর ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির খবর প্রতিদিন প্রকাশের জন্য ‘ত্রিপুরা কড়চা’ নামে একটি কলাম চালু করা যায় কি না ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।