ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ডিএমপি কমিশনার
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৩ পিএম
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রবা ফটো
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।‘ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নজরদারি করতে আলাদা একটি সংস্থা (জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর) রয়েছে। তারাই বিষয়টির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সময় আমাদের সহযোগিতা চেয়ে থাকে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত সবার, দ্রব্যমূল্যে কেউ কারসাজি করলে পুলিশ কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে না। তবে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই জানে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।’
মেসেজ টু কমিশনারের (এমটুসি) বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে মেসেজ টু কমিশনার চালু করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসা মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি প্রতিদিনই অভিযোগগুলো দেখি এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
মেসেজ টু কমিশনার একটা টপ ডাউন প্রসেস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ প্রথমে ওসির কাছে আসে। সেখান থেকে একজন দারোগা এবং পরে সিনিয়র অফিসাররা জানেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলে কমিশনার পর্যন্ত আসে। কিন্তু মেসেজ টু কমিশনারে অভিযোগ সরাসরি কমিশনারের কাছে চলে আসে। সেবাগ্রহীতা যে ধরনের প্রত্যাশা করেন আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নবনির্বাচিত কমিটি ডিএমপি কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ডিএমপি কমিশনারও নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডিএমপি কমিশনার ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ডিএমপির কার্যক্রম সাংবাদিকরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ বা নিরীক্ষণ করেন। পুলিশ সাংবাদিক পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক, পরস্পরের বন্ধু। ক্র্যাব-ডিএমপি একেবারে ভাই ভাই সম্পর্ক। ক্র্যাবের সব কার্যক্রমের সঙ্গে ডিএমপির যতটা সম্পৃক্ততা থাকে অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে অতটা থাকে না। ২৮ অক্টোবরও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২৭-২৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিকদের আমি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর নিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অনেক সময় কোনো ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্যের জন্য জনগণের কাছে পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের কিছু ঘাটতি দেখা দেয়।’ তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আপস না করার কথা বলেন তিনি। এ ধরনের সংবাদ পুলিশের দক্ষতা, যোগ্যতা ও উৎকর্ষতাকে শাণিত করতে সহায়তা করে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক করা আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। জাতীয় নির্বাচনের কারণে কাজগুলো থেমে গিয়েছিল। এখন আবার ঠিক করা হবে। তবে উন্নয়নমূলক কাজ শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলমান থাকায় পুরো শহরেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেই যতটুকু করা যায়, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।‘
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ক্র্যাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান খান, সহসভাপতি শাহীন আবুদল বারী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দিপন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, ইসি সদস্য আলী আজম, দাউদ খান ও কালিমউল্ল্যাহ নয়ন উপস্থিত ছিলেন।