প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৪৪ পিএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৫১ পিএম
প্যারোলে মুক্তি পেলেও হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়ই মায়ের জানাজা পড়াতে হয়েছে বিএনপি নেতাকে। ছবি : সংগৃহীত
মায়ের জানাজার সময়েও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আলী আজম নামে এক বিএনপি নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখাার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। সংবিধানে এমন বিস্তৃত অধিকার থাকা সত্ত্বেও একজন সাধারণ নাগরিককে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি। পাশাপাশি এক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো বিষয়ক উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। তাছাড়া আলী আজম কোনো সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি নন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। বরং তিনি একটি গায়েবি রাজনৈতিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে যেই মামলাটি রয়েছে সেই মামলার বাদী এই ঘটনা ও মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে তিনি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে মতামত ব্যক্ত করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ধরণের নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অসংবেদনশীল আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) মারা যান। শেষবার মায়ের মরদেহ দেখতে এবং জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তিন ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মায়ের জানাজায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পান আজম। প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় ছিলেন তিনি।
জানাজা পড়ানোর সময় আজমের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।