ঢাবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
ঢাবির জগন্নাথ হলে বিদ্যাদেবীর আরাধনা করছেন ভক্তরা। প্রবা ফটো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের আশায় সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের ৭৩টি অস্থায়ী মণ্ডপে পূজা অর্চনা করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের পাশাপাশি পূজায় অংশ নেন অসংখ্য ভক্ত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাবির জগন্নাথ হলে দল বেঁধে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। নিজ নিজ বিভাগের মণ্ডপে বিদ্যাদেবীকে প্রণাম করেন তারা। নানা আয়োজনে হল প্রাঙ্গণ উৎসবের আমেজে মেতে উঠেন। অস্থায়ী মণ্ডপের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মণ্ডপেও অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যাদেবীর পূজা। সেখানেও পূজা করেন শিক্ষার্থীরা।
সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সাড়ে ৭টায় বাণী বন্দনা, ৮টা ১০মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি, সাড়ে ১১টায় প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে পূজার কার্যক্রম শেষ হয়। বিকাল ৪টায় অতিথি আপ্যায়ন করা হবে।
পূজায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের পড়াশোনা যাতে সুন্দর ও সাফল্যের সঙ্গে করতে পারি এবং ভবিষ্যতে যাতে ভালো চাকরি পাই বিদ্যাদেবীর কাছে এটাই চাওয়া। দেবীর আশীর্বাদে যেন পড়াশোনা শেষ করে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে পারি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধু-বান্ধবসহ পূজা মণ্ডপে আসেন। সেখানে পূজা উদযাপন করেন তারা। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও আসেন জগন্নাথ হলে। বন্ধুদের সঙ্গে তারাও পূজা উদযাপন করেন। এছাড়া পূজা মণ্ডপে অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরাও আসে। পড়ালেখায় যাতে ভালো করতে পারে সে চাওয়াই তাদের ও অভিভাবকদের।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘দুই বছর পর আমরা পুরোনো সেই আমেজে ফিরতে পারছি। এটি খুবই আনন্দদায়ক। সবাই এসে পূজা করে যাচ্ছে। এত উৎসবমুখর দেখে ভালো লাগছে। আগামীকাল ছোট পরিসরে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে।’
তিনি আরও জানান, পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা, পুলিশ, আনসার ও হল প্রশাসনের নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করছেন। যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত কিছু না হয়, সেজন্য সবাই মিলে কাজ করছেন।