প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২৬ পিএম
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পরিবেশ ভবনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালা। প্রবা ফটো
দেশের ৬৪ জেলায় শব্দদূষণের মাত্রা নির্ণয়ে জরিপ হয়েছে। অচিরেই সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হবে বলেও জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরিবেশ ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অসহনীয় শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শব্দদূষণ রোধ করতে হবে। বাসযোগ্য পরিবেশ গড়তে শব্দদূষণ রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ ও পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্ত্রী আশা করেন, শব্দদূষণের ক্ষতি অনুধাবন করে মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। উচ্চশব্দ সৃষ্টি করা থেকে সবাই বিরত থাকবে। চালকরা অযথা যানবাহনের হর্ন বাজানো বন্ধ করবে। কল-কারখানা, নির্মাণকাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও উচ্চ শব্দসৃষ্টি পরিহার করবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. সীমা জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় ৬৪ জেলার শব্দের মাত্রা পরিমাপ সংক্রান্ত জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) টিম লিডার অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উচ্চশব্দ একটি নীরব ঘাতক। এতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে মাথা ব্যথাসহ মনোসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। উচ্চমাত্রার শব্দের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। শিশুদের পাঠ্যক্রমে যদি এটি অন্তর্ভুক্ত হয় তবে তারা সচেতন হয়ে গড়ে উঠবে। পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজনের জন্য আমরা যেভাবে কাজ করছি, ঠিক একইভাবে শব্দদূষণ নিয়ে কাজ করতে হবে।