প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:১৩ এএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:২১ এএম
ছবি : সংগৃহীত
গায়ে সাদা আর কালো রঙের পোশাক, হাতে ফুল। বিষাদের সুরে যেন বলছে, ‘প্রভাতফেরী প্রভাতফেরী/আমায় নেবে সঙ্গে/বাংলা আমার বচন/আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।’ মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে মানুষের স্রোত নামে শহীদ মিনারের দিকে। সঙ্গে আছে আকুতিভরা কণ্ঠের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...।’
১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। দেখলে মনে হয় রাজধানীর সব স্রোত যেন শহীদ মিনারের দিকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দীর্ঘ লাইন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত পর্যন্ত চলে যায় সেই লাইন।
লাইনে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তারা। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরাও।
আট বছরের ছেলে নীলয় শর্মাকে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন স্কুলশিক্ষক মা জয়া শর্মা। নীলয় বলে, ‘শহীদ মিনারের কথা টিভিতে দেখেছি। আজ দেখতে আসলাম।’ তার মা জয়া শর্মা বলেন, ‘বাংলা আমাদের অহংকার। শহীদ মিনার, একুশের তাৎপর্যের সঙ্গে পরিচিত করাতেই ছেলেকে নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছি।’
জয়নুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাংলা আমাদের গর্ব। এ ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে না এলে কি হয়!’