× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মেট্রোরেলে ৩০ মিনিটে গাবতলী থেকে খিলগাঁও

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩২ পিএম

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম

রাজধানীর মেট্রোরেল। সংগৃহীত ফটো

রাজধানীর মেট্রোরেল। সংগৃহীত ফটো

মেট্রোরেলে রাজধানীর গাবতলী থেকে খিলগাঁও যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। এ পথ দিয়ে দৈনিক ১০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। সরকার এর নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শুরু এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করতে চায়। ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার এ লাইন নির্মাণে ৫০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা খরচ হবে।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেল লাইন-৫ (দক্ষিণাংশ) নির্মাণের লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে গাবতলী থেকে খিলগাঁও (লাইন-৫) অংশে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল ওহাব জানান, এই পথে ১৭ কিলোমিটার পথের মধ্যে সাড়ে ১২ কিলোমিটার পথ থাকবে পাতালে এবং উড়ালপথ থাকবে সাড়ে চার কিলোমিটার। এ পথে থাকবে ১৫টি স্টেশন। মেট্রোরেলের এ পথে গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, পান্থপথ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, রামপুরা, আফতাবনগর ও দাশেরকান্দি এলাকা যুক্ত হবে। 

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘প্রথম ধাপে প্রাকসম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শেষ করা হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ নকশার কাজ চলছে, যা শেষ হবে ২০২৩-এর মার্চে। তারপর আমাদের এক বছর লাগবে চুক্তির দলিল তৈরি করতে, যা আমরা ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যেই করতে পারব। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শুরু হবে নির্মাণকাজ। আমরা আশা করছি, ২০৩০ সালের দিকে শেষ হবে এ প্রকল্প। আর ২০৩০ সালের শেষ অথবা ২০৩১ সালের শুরু দিকে এ পথে ট্রেনের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করা যাবে।’

সভায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) এই প্রথম মেট্রোরেলের কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এই প্রকল্পে সরকার তাদের কাছ থেকে চায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দেবে সরকার।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন চালু করা, যাতে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারে। 

মেট্রোরেলের নতুনবাজার থেকে রূপগঞ্জ লাইন নির্মাণ করতে গিয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ভাঙতে হবে, গণমাধ্যমের এমন খবরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সড়ক সচিব বলেন, ’পূর্বাচলে মেট্রোরেলের উড়ালপথের নির্মাণকাজের জন্য আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের কিছুটা ভাঙা পড়বে। তবে কতটুকু ক্ষতি হবে তা জানতে স্টাডি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণে কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার (যা পূর্বাচল ৩০০ ফুট নামে পরিচিত) তেমন ক্ষতি হবে না। উদাহরণ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নে কারও জমি নেওয়া হয়, কারও ভবন ও বাড়ি ভাঙা পড়ে, তার জন্য অবশ্যই আমরা ক্ষতিপূরণ দিই। তার আগে আমরা কতটুকু ক্ষতি হবে তা স্টাডি করি। আমরা কাগজপত্র নিয়ে বসলে বুঝতে পারব কতটুকু ক্ষতি হবে। আমরা কাজ করতে গেলে আরও বেশি বোঝা যাবে।’ 

জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িল-কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণ করেছে। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া কাজ নির্ধারিত সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিংহভাগ শেষ হয়। চলতি বছরের যেকোনো সময় প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হবে। এ অবস্থায় দেশের প্রথম পাতাল রেল বা এমআরটি-১-এর কাজ শুরু হয়েছে।

এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘পূর্বাচল অংশে মেট্রোরেলের কাজ চলাকালে হয়তো রাস্তার সামান্য ব্যত্যয় হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। আইল্যান্ড ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফুট রাস্তার দুদিকে সড়কবাতি লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে লাগানো হয়নি। এখন কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে বিধায় সড়কবাতি লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে সড়কবাতি লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি। সমন্বয় করা হয়েছে বলেই মাঝে জায়গা রাখা আছে। আন্ডারপাসে হয়তো সামান্য কিছু ভাঙা পড়বে। একটা রাস্তা করতে গেলে শতভাগ সোজা করা যায় না, কিছুটা বাঁকা হয়।’ 

এ অংশে থাকা ১২টা আন্ডারপাসের ক্ষতি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সমন্বয় করেছি। মিনিমাম (একেবারে কম) অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হচ্ছে। কয়টা আন্ডারপাস ভাঙা হবে এ নিয়ে আমাদের আবারও বসতে হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা