প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৩ এএম
ফাইল ফটো
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রথম ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তখন ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৬৪২ জন।
সর্বশেষ গত ২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এই হিসাব বলছে, গত ৫০ বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৯৮ জন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ স্বাধীনের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট আটবার ভোটারদের ডেমোগ্রাফিক ডাটা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ২০০৭-২০০৮ সালে ভোটারের বায়োমেট্রিক তথ্য ও ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালে প্রণীত হয় ভোটার তালিকা আইন।
সেই আইন অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০১৯ সালের ১ মার্চ প্রথম দেশে জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়। একই দিন ভোটার তালিকার চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
পরে সময় পরিবর্তন করে ২০২০ সাল থেকে ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে আসছে কমিশন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইতোমধ্যে ১৭ বার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একবার (২০০৬ সাল) ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়।
অনেক সময় আগেরবারের তুলনায় ভোটার সংখ্যা কমে যায়। এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, উপস্থিত না থাকলেও একসময় ভোটার হওয়ার সুযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে একাধিক স্থানে ভোটার হতেন।
১৯৯৫ সালে যখন ছবিসহ ভোটার করা হলো, তখন ভোটারকে নিজে উপস্থিত থেকে ভোটার হতে হতো। তাই ওই বছর আগের বারের চেয়ে ভোটার সংখ্যা কম হয়েছিল।
এ বছরের ২ মার্চ ভোটার তালিকা হালনাগাদের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, আর ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন, এবং ৮৩৭ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।
সমাজে অবহেলিত এই হিজড়াদের নিজ পরিচয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়াকে আরেকটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করছে কমিশন।