প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
ভরতের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সংগৃহীত ফটো
দাম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ভরতের গোড্ডা কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করতে পারে আদানি পাওয়ার। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং আদানি পাওয়ার সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চাইলেই আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করবে।
আদানি পাওয়ারের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ইউসুফ শাহরিয়ার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা গতকাল (বুধবার) থেকে প্রস্তুত রয়েছি। এখন বাংলাদেশ প্রান্ত সুইচ অন করলেই বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করতে পারব।’ তবে কখন থেকে সঞ্চালন শুরু হবে সে সম্পর্কে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, এখনও বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়নি। শুরু হলে তিনি জানাতে পারবেন।
পিজিসিবি সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। বৃহস্পতিবার পিজিসিবির তরফ থেকে পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত থাকার বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে আদানিকেও জানানো হয়েছে।
পিজিসিবির মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা সুমন বলেন, ‘আমরা আমাদের সিস্টেম রেডি করে এরই মধ্যে বলে দিয়েছি। এর পরের কাজ পিডিবি এবং আদানি করবে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই।
ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।’
তবে আদানি পাওয়ারের প্রস্তুতি নিয়ে আদনির কান্ট্রি ম্যানেজার ইউসুফ শাহরিয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করেছেন পিডিবি এবং পিজিসিবি। দুই সংস্থার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু আদানি প্রস্তুত নেই।
আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ দশমিক ৫ গিগাওয়াট। তবে আপাতত এর প্রথম ইউনিট ৭৫০ মেগাওয়াট চালু হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট আসতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।