× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কে মুখটা বন্ধ করে ধরল আমি তা জানি না : প্রধানমন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১৯:০২ পিএম

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২১:০৬ পিএম

বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে আজীবন সম্মাননা নিচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর। প্রবা ফটো

বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে আজীবন সম্মাননা নিচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর। প্রবা ফটো

দেশে বাকস্বাধীনতা নেই এমন অভিযোগের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এত টেলিভিশন খুলে দিয়েছি, সারা দিন তো কথা বলে। অনেক কথা বলার পরেও কেউ কেউ বলবে আমরা কথা বলতে পারি না। অথচ বাংলাদেশে ২ হাজার ৪৫৫টি পত্রিকা। ১৭০টি অনলাইন পোর্টাল ও ১৪টি আইপি টিভি অনুমোদন দিয়েছি। সেখানে তো সবাই মন ভরে কথা বলছে, কথা বলতে পারল না টা কোথায়? কে মুখটা বন্ধ করে ধরল আমি তা জানি না।’

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দুজন শিল্পীকে আজীবন সম্মাননাসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেখলাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলল, সরকারের সমালোচনা করল। সব কথার শেষ কথা, আমরা কথা বলতে পারি না। আমি অবশ্য একদিন মজা করে বলেছিলাম, যে যখন এই কথা বলবে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তাহলে আর শোনা যাবে না। তা ছাড়া তো উপায় নেই। কারণ বলতে যখন পারে না তার থেকে বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। সেটা আমি এমনিই বলেছি, যাক যে যত কথা বলার বলুক।’

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদর্শনের ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেখানে চিত্রনায়িকা ডলি জহুরকে ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সিনেমা বানানোর জন্য চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের বাঙালিরা সিনেমা বানাতে পারে, সেটাও ছিল আরেকটা চ্যালেঞ্জ। সিনেমা শুটিংয়ের জন্য গাজীপুরে ১০৫ একর জমি দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে আমরা নানা পদক্ষেপ নিই। সরকারে আসার পর দেখলাম একটা ভালো ক্যামেরাও ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড করে দিয়েছি। নতুন করে সিনেপ্লেক্স গড়ে তুলতে বলেছি। মানুষ এখন হলমুখী হচ্ছে। মানুষ যেন ভালোভাবে সিনেমা দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি।’

চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের সময় বাঙালিরা সিনেমা করতে পারে বা করতে পারবে, এটা পাকিস্তানিরা সব সময় অবহেলার চোখে দেখত। ১৯৫৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পায়, হোসেন সোহরাওয়ার্দী তখন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। তখন বাঙালিরা যেন সিনেমা তৈরি করতে পারে বঙ্গবন্ধু সেই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদে আমাদের এই বাংলাদেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিল, এই আইনটি পাশ করেন বঙ্গবন্ধু। তার উদ্যোগে আইনটি পাস হয়। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা, বিশেষ করে এফডিসির কাজ শুরু হয়। সেখানে সিনেমা নির্মাণও শুরু হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে যে কেউ প্রাথমিকভাবে অল্প সুদে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে। জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যেন সিনেমা হল হয়, বিশেষ করে নতুনভাবে সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলেন। একসময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। এখন কিন্তু আবার ফিরে আসছে। এখন কিন্তু মানুষ সিনেমা হলমুখী হচ্ছে। সেই রকম বই পেলে মানুষ যায়, তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি। আমাদের কয়েকটি ভালো সিনেমা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ পাস করে দিয়েছি। চলচ্চিত্রের সাথে যারা সম্পৃক্ত, আমাদের যন্ত্রশিল্পী, কলাকুশলী, মঞ্চসজ্জা থেকে শুরু করে যারা আছেন তাদের সকলকে নিয়েই এই ট্রাস্টটা করা। এটার একটা সিল মানিও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছে, তারাও এখানে অনুদান দিতে পারে।’

নির্মাতাদের জীবনধর্মী ভালো চলচ্চিত্র তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিনেমাগুলো যেন জীবনধর্মী হয়। সেগুলো কিন্তু মানুষকে বেশি আকর্ষণ করে। কারণ মানুষ তার জীবনের প্রতিচ্ছবি সেখান থেকে পায়। একটা সিনেমা পারে একটা মানুষের জীবন পাল্টে দিতে বা একটা সমাজকে পাল্টে দিতে। সিনেমা, নাটক সব ক্ষেত্রেই কিন্তু এর একটা অবদান রয়েছে। মানুষের চিন্তা চেতনার উৎকর্ষ ঘটাতে পারে। অন্যায় অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পারে।’

ভালো সিনেমা দর্শকপ্রিয় হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত দিনে আমাদের অনেকগুলো সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেগুলো সত্যিই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। মানুষও কিন্তু সেগুলো লুফে নিয়েছে। সেভাবে আমাদের সবার কাজ করা দরকার।’

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা যখনই সুযোগ পেয়েছেন শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অবদান রেখেছেন। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কলকাতায় সিনেমা দেখার জন্য এক কিলোমিটার লম্বা লাইন দেখা গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু কথা বলেন না। রক্ষা করেন। আমাদের লক্ষ্য আমাদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নেবে। সকলের প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমরা পৌঁছে যাব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা