প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ০০:১৫ এএম
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংগৃহীত ফটো
স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে স্কাউট আদর্শের প্রতিফলন ঘটাবে। দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করবে।’
তিনি বলেন, তার প্রত্যাশা হচ্ছে- স্কাউটরা কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে স্কাউট আদর্শের প্রতিফলন ঘটাবে। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আত্মনিয়োগ করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কাউটরা সৃষ্টিকর্তা ও দেশের প্রতি কর্তব্য পালনের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ুর উষ্ণতা রোধে জনসচেতনতা তৈরি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভবনধস ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার কাজসহ জাতীয় দুর্যোগে সবার আগে এগিয়ে আসে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার মানসিকতা তৈরিতে স্কাউটিংয়ের ভূমিকা অনন্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কাউটরা নিয়মিত সমাজ সেবামূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও আর্তমানবতার সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। স্কাউটিংই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, প্রগতিশীল, সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে।’
তিনি বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে স্কাউটিং ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের যুগোপযোগী উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশে স্কাউট আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।
২০২২ সালে ৬২৬ জন স্কাউট অ্যাওয়ার্ড (প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড), বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ অ্যাওয়ার্ডে অর্জনকারী সবাইকে এবং তাদের লিডার ও অভিভাবকদেরও অভিনন্দন জানান চিফ স্কাউট মো. আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) মো. আতিকুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) উনু চিং এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।