× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বঙ্গবন্ধু যেসব বৃক্ষ রোপণ করেছেন

মোকারম হোসেন

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৫ পিএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪২ পিএম

১৯৭২ সালে রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দান) বঙ্গবন্ধু নারিকেলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে উদ্যান তৈরির উদ্বোধন করেন। নাম রাখেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।  ফটো সংগৃহীত

১৯৭২ সালে রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দান) বঙ্গবন্ধু নারিকেলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে উদ্যান তৈরির উদ্বোধন করেন। নাম রাখেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ফটো সংগৃহীত

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী কর্মকাণ্ড থেকে বাদ যায়নি বৃক্ষরোপণের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও। আমরা এখন যা কেবল ভাবতে শুরু করেছি, তিনি ভেবেছিলেন আরও পঞ্চাশ বছর আগে। এ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনি বৃক্ষরোপণের ওপরই জোর দিয়েছিলেন বেশি। তাঁর এই উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশও ঘটেছিল নানাভাবে। সদ্য স্বাধীন দেশে তিনি সবাইকে বৃক্ষপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণভবন, বঙ্গভবন ও বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ লাগিয়েছিলেন। 

১৯৭২ সালের ৩ জুলাই খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে তিনি একটি নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন। ৫১ বছর বয়সি গাছটি এখন বেশ বড় হয়েছে। ফল ধরছে আরও কয়েক বছর আগে থেকেই। গাছটির চারপাশ ঘিরে রাখা হয়েছে কালো পাথরের বেদি দিয়ে। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন। তারপর মহিলা কলেজ পরিদর্শনে এসে চারাটি রোপণ করেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নারিকেল গাছ

১৯৭২ সালে রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দান) ঘোড়দৌড়ের মাধ্যমে জুয়াখেলা বন্ধ করে বঙ্গবন্ধু নারিকেলের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে একটি উদ্যান তৈরির উদ্বোধন করে উদ্যানটির নামকরণ করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত দীর্ঘ নারিকেল বীথিগুলো বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত অনন্য উপহার। ধারণা করা হয়, একই সময়ে এই নারিকেল গাছগুলোও লাগানো হয়েছিল। তবে তিনি সেদিন কোন গাছটি লাগিয়েছিলেন, তা এখন আর শনাক্ত করা যায় না। 

১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সুন্দরবনসহ দেশের অন্যান্য বনজ সম্পদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ লাগিয়ে বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু অনাবাদী জমি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতসহ খালি জায়গাগুলোতে বৃক্ষরোপণ করার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। 

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণের নারিকেল গাছ 

১৯৭২ সালের ৩ জুলাই খুলনা সফরে এসে বঙ্গবন্ধু সেখানকার সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে একটি নারিকেল গাছের চারা লাগিয়েছিলেন। কলেজের মূল ফটক পার হলেই দেখা মিলবে গাছটির। ৫১ বছরে গাছটি অনেক বড় হয়েছে। ফল ধরছে অনেক বছর হলো। সেই ফল থেকে আবার অনেকগুলো চারা করে বিতরণও করা হয়েছে। ২০১০ সালে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুন নাহার উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে জানতে পারেন, ক্যাম্পাসে একটি নারিকেলগাছ বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে লাগিয়েছিলেন। কলেজের ইতিহাস অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে পেয়ে যান কিছু সাদা-কালো ছবিও। এসব ছবিতেই কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর নারিকেলগাছ লাগানোর চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরে কলেজের পুরোনো কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে নাারকেলগাছটি শনাক্ত করা হয়। ছবিগুলোতে তৎকালীন অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমানও রয়েছেন।

ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের কামিনী গাছ

ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এবং স্বহস্তে লাগানো একটি কামিনী ফুলের গাছ আছে। কিন্তু গাছটির নামফলকে রোপণের কোনো তারিখ বা সময়ের উল্লেখ নেই। তবে এই কামিনী গাছের সঙ্গে তাঁর যে সখ্য ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৬৬ সালের ২৪ জুন, শুক্রবার কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে তিনি লিখেছেন- ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না। উঠতে ইচ্ছাই হয় না। মেট চা নিয়ে এসে হাজির। বিছানায় বসেই চা খেলাম। দেখলাম আকাশের অবস্থা ভালো। আমার ঘরের দরজার কাছে একটা কামিনী ও একটা শেফালি গাছ। কামিনী যখন ফুল দেয় আমার ঘরটা ফুলের গন্ধে ভরে থাকে।’ সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর সেই কামিনী গাছটি এখনও বেঁচে আছে। তাতে একটি নামফলকও লাগানো হয়েছে। 

ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সফেদা গাছ

২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর স্বহস্তে লাগানো গাছগুলো দেখতে এবং এ বিষয়ে খোঁজখবর জানতে। সেখানে বঙ্গবন্ধু যে সেলে সবচেয়ে বেশি সময় থেকেছেন তার সামনে এবং লাগোয়া পাকঘরের (যে ঘরটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্য রান্না করা হতো) পাশে দুটো গাছ দেখেছি। যার একটি কামিনী এবং অন্যটি সফেদা। নামফলকে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বহস্তে লাগানো গাছ। কামিনী গাছটি তাঁর সেলের সামনে (যা এখন জাদুঘর), আর সফেদা গাছটি পাকঘরের পাশে। নামলিপিতে অবশ্য গাছ দুটি লাগানোর কোনো সময়কাল উল্লেখ নেই। সফেদা গাছটি এখন ফলন্ত, বেশ বড় হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর অমূল্য স্মৃতি হিসেবে গাছ দুটি যত্নসহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। 

উত্তরা গণভবনের হৈমন্তী (কুরচি)

নাটোরের উত্তরা গণভবন ছিল রাজশাহীর দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের বাসভবন। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ববর্তী গভর্নর হাউস বা দিঘাপতিয়া রাজবাড়িকে ‘উত্তরা গণভবন’ হিসেবে নামকরণ করেন। এদিন তিনি উত্তরা গণভবনে একটি হৈমন্তী (কুরচি) গাছের চারা রোপণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় গাছটি বিপন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে গাছটির বয়স ৫১ বছর। দীর্ঘদিনের অযত্ন-অবহেলায় এবং ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে গাছটির কাণ্ড ও ডালপালা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরেজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আগের তুলনায় গাছটি অনেকটাই সেরে উঠেছে। নিয়মিত ফুলও ফুটছে। ইদানীং অনেক পর্যটক গাছটি দেখতে সেখানে যাচ্ছেন। 

১৯৭৩ সালের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। বৃক্ষরোপণ পক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু উত্তরা গণভবনে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন। এ নিয়ে সমকালীন জাতীয় দৈনিকগুলোয় খবর প্রকাশিত হয়। পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ

উত্তরা গণভবন ১ জুলাই (বিপিআই)।

বৃক্ষরোপণ পক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর আজ সকালে উত্তরা গণভবন প্রাঙ্গণে একটি নারিকেলের চারা রোপণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সেক্রেটারি তোফায়েল আহমেদ এবং বাংলাদেশ রেডক্রসের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম মোস্তফাও একটি করে চারা লাগান। [পূর্বদেশ, ২ রা জুলাই ১৯৭৩]

গণভবনের নারিকেল গাছ 

১৯৭২ সালের ১ জুলাই, শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণভবনে (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) একটি নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার দেশের সাড়ে তিন কোটি কর্মক্ষম লোক সবাই একটা করে গাছ লাগাবেন- এটাই আমার কাম্য।’ [দৈনিক পূর্বদেশ, ২ রা জুলাই, ১৯৭২] 

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গণভবন ছিল মূলত সরকারপ্রধানের মূল কার্যালয়। বঙ্গবন্ধু সেখানে নিয়মিত অফিস করতেন। তিনি তখন সেখানে আরও কিছু নারিকেল ও সুপারি গাছ লাগানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। সে সময় গণভবনে কর্মরত ছিলেন প্রয়াত মালী সুধন মিয়া। তিনি তথ্যটি পরে গণভবনের অন্য মালীদের জানিয়েছিলেন। সুধন মিয়ার এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত গণভবনের ওয়ার্ক অ্যাসিসটেন্ট মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।

সুধন মিয়ার তথ্যমতে, গণভবনের মূল ভবনের পেছন লাগোয়া পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ইটের যে সড়ক তার লেক প্রান্ত থেকে পশ্চিম দিকে একটু আগালে বাঁ পাশে প্রথমেই যে নারিকেল গাছটি পাওয়া যাবে, সেটিই বঙ্গবন্ধুর লাগানো নারিকেল গাছ। জানা যায় যে, নারিকেল গাছটি এখনও বেঁচে আছে। একাধিক তথ্যসূত্র থেকেও এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেদিন গণভবনের চারপাশে একশ নারিকেলগাছ ও তিনশ সুপারিগাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথাও বলেন। 

আমগাছ ও রক্তচন্দন গাছ। দোখলা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় বনবিভাগের দোখলা রেঞ্জ অফিস লাগোয়া রেস্ট হাউর প্রাঙ্গণে একটি আমগাছ ও একটি রক্তচন্দন গাছ লাগিয়েছিলেন। গাছ দুটি একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত; আবার অন্যদিকে আমাদের স্বাধীনতার সমবয়সি হওয়ায় সেদিক থেকেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মধুপুরের এই আমগাছ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।  

একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গজাতিমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলকে নিয়ে টাঙ্গাইলে মধুপুরের দোখলা রেস্ট হাউসে বেড়াতে আসেন। সেদিন তিনি বনবিভাগের দোখলা রেস্ট হাউসের দুপাশে নিজ হাতে একটি আম ও একটি রক্তচন্দন (লালচন্দন) গাছের চারা রোপণ করেন। যা কালের সাক্ষী হয়ে এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে গাছটির তেমন কোনো পরিচর্যা হয়নি। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সরেজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায় আমগাছটির পাতাসহ সব ডালপালা শুকিয়ে গেছে। বনবিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানালেন বজ্রপাতে গাছটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে গাছটির মৃত্যু বজ্রপাত ছাড়া অন্য কোনো কারণেও ঘটতে পারে। 

রক্তচন্দন/লালচন্দন

১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় বনবিভাগের দোখলা রেঞ্জ অফিস লাগোয়া রেস্ট হাউস প্রাঙ্গণে আমগাছের সঙ্গে ও একটি রক্তচন্দন গাছও লাগিয়েছিলেন। রেস্ট হাউসে প্রবেশপথের বাঁ পাশেই গাছটির অবস্থান। সেদিনের সেই ছোট্ট তরুশিশুটি এখন অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে পরিণত বৃক্ষ হয়ে উঠেছে। গাছটির বর্তমান উচ্চতা ৮ মিটারের মতো হতে পারে। রক্তচন্দন (Pterocarpus santalinus) সাধারণত ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ডের ভেতরের অংশ (সারকাঠ) গাঢ় বেগুনি রঙের। সঠিক পদ্ধতিতে গাছটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা