× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সড়ক রক্ষার প্রকল্পে গতি নেই

রাশেদুল হাসান

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:২৫ এএম

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:২৬ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

ভারী বাহনে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে নষ্ট হচ্ছে নতুন সড়কগুলো। এটা নিয়ন্ত্রণ করে সড়ক রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প নিয়েছিল সড়ক ও জনপথ অধিপদপ্তর (সওজ)। কিন্তু দুই বছরের এ প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানোর পর প্রায় তিন বছরেও শেষ করতে পারেনি তারা। জমি অধিগ্রহণসহ সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকি জানান, মাত্র সাতটি কেন্দ্রের জমি বুঝে পেয়েছেন তারা। আর পাঁচ জায়গায় সওজের নিজস্ব জায়গা রয়েছে। বাকি ১৬টির জমি এখনও বুঝে পায়নি সওজ।

প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, মোট ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে ২৮টি দ্বিতল ভবন নির্মাণ, গুদাম, পার্কিং এরিয়া, বুথ, বাঁধ, ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট, রিজিড পেভমেন্ট, ড্রেন ও বক্স কালভার্ট নির্মাণ, বৈদ্যুতিক কাজ ইত্যাদি।

প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, ১৯ জেলার ১৮টি মহাসড়ক, পাঁচটি আঞ্চলিক ও পাঁচটি জেলা সড়কে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৯ সালের ১ জুলাই; শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ জুন ২০২২ সালে। কাজ শেষ না হওয়ায় সরকার এর মেয়াদ বাড়ায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। সেই হিসেবে আর সময় আছে প্রায় ১৫ মাস। যেখানে পৌনে তিন বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ, সেখানে আগামী ১৫ মাসে বাকি ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হবে সেই আশা করতে পারছেন না কেউ। ফলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি প্রকৌশলীদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রকল্পের কাজ হচ্ছে চারটি প্যাকেজে। এর মধ্যে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও দুটি পূর্তকাজের ঠিকাদার নিয়োগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের আবেদন এখনও মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। এর বাইরে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনার জন্য সফটওয়্যার সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকি জানিয়েছেন।

তবে অগ্রগতি যা-ই হোক না কেন, প্রকল্প পরিচালক সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বছরের মধ্যেই ১২টি কেন্দ্র উদ্বোধন করতে চান।

তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ প্রকল্পের ধীরগতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রধান সমস্যা জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করতে না পারা। তবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন সচিবরা।’

সওজের নিজস্ব জায়গায় যে পাঁচটি কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে তা কেন হয়নি এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। সওজের নিজস্ব জায়গা রয়েছে চট্টগ্রামের তিন জায়গায়, বাগেরহাটের এক জায়গায়, আর ময়মনসিংহের ত্রিশালে।

প্রকল্পটি কুমিল্লা, সিলেট, গাজীপুর, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা, দোহাজারী, ফেনী, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও ময়মনসিংহ প্রভৃতি ব্যস্ত এলাকায় বাস্তবায়ন করার প্রাথমিক লক্ষ্য রয়েছে।

বিশেষজ্ঞ মতামত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক ড. শামসুল হক ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি টেকসইভাবে আমাদের সড়ক অবকাঠামো ব্যবহার করতে চাই তাহলে রক্ষণাবেক্ষণে পিছুটান থাকা যাবে না। কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে। না হলে সড়কে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার সুফল আসবে না।’

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৬ চাকার গাড়ি ১৬ টন, ১০ চাকার গাড়ি ২২ টন ওজন নিতে পারবে। গাড়ি যারা বানায় তারা গাড়ি ও টায়ার এ মানদণ্ড অনুযায়ী বানায়। এসব বিষয় আমলে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা