প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১১:৪০ এএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম
ফাইল ফটো
মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেওয়া বিশেষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার (২১ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্প এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন। একই সঙ্গে দেশের ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেওয়া হবে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে প্রতিটি পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা একক ঘর দেওয়া হচ্ছে।
যে ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলা রয়েছে। এর আগে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছিল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকল্প তিনটি হলো গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প ও বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।
জানা গেছে, প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন করা শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। চতুর্থ পর্যায় পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে। পরিবারপ্রতি পাঁচ জন হিসাবে এতে উপকৃত হয়েছেন দেশের ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৯৮৫ জন নাগরিক।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ (আগামীকাল) ৩৯ হাজার ৩৬৫টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চলতি চতুর্থ পর্যায়সহ এ পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ছাড়াও চতুর্থ পর্যায়ে চরাঞ্চল ও পার্বত্যাঞ্চলের জন্য বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলে বরাদ্দকৃত বিশেষ ডিজাইনের ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৩৭৩টি আর পার্বত্যাঞ্চলের মাচাং ঘর হচ্ছে ৬৩৪টি।