প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ২২:১৩ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ২২:২৩ পিএম
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ। প্রবা ফটো
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং গ্রাম, শহরে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে জোটের নেতারা বলেন, সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেলেও সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীরা বারবারই বলছে, রমজানে সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। দেশে খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটর করা হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাজার সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদ (মার্ক্সবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, কদম ফোয়ারা, বঙ্গবাজার, নগর ভবন, গোলাপশাহ মাজার ও নূর হোসেন স্কোয়ার ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাম জোট নেতারা বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে বিপর্যস্ত। অনেক আগেই ৬৪ শতাংশ মানুষ খাদ্য কিনতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ২৯ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙেছে। গত এক বছরে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের সব সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছে। মানুষ টিসিবির পণ্য কিনতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ট্রাকের সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে না পেরে মানুষের পুষ্টিহীনতা বেড়ে ইতোমধ্যে তা ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মানুষ তাদের খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস, দুধ-ডিম বাদ দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির চাপে দেশের মানুষ দিশাহারা।