প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০২ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১০ পিএম
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে কথা বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। প্রবা ফটো
চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের মূল্য নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিমানভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এসব নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পর এবার ব্যাখ্যা দিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেছেন, আগের চেয়ে বর্তমানে রিয়ালের (সৌদি আরবের মুদ্রা) বিনিময় মূল্য বেশি। তা ছাড়া বৈশ্বিক পরিস্থিতিও একটা ব্যাপার। সব মিলিয়ে হজ প্যাকেজের মূল্য এবার বেশি।
রবিবার (২ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি হোটেলে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। এটির আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ফোরাম।
অনুষ্ঠানে হজের বিমানভাড়া নির্ধারণের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের দাবি তোলেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন ও মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার
এ প্রসঙ্গে ফরিদুল হক খান বলেন, ‘নির্ধারিত ফ্লাইট বিবেচনায় ভাড়া বেড়েছে। এটির যৌক্তিক কারণ আছে। সামনে স্থায়ী কাঠামোর ভিত্তিতে বিমানভাড়া নির্ধারণ করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হজে যাওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫১ জন নিবন্ধন করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি নিবন্ধন শেষ হবে।’
ধর্মমন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রাক-নিবন্ধন করেও শেষ পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাত দফা সময় বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।
এর আগে হজের প্যাকেজের মূল্য বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। রবিবার (২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হারাম শরিফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থ দিয়ে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছর হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়।
একই ধারাবাহিকতায় বলা যায়, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হজযাত্রীদের এ বছরই হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।