প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০১:১৪ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০৮ এএম
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভা। সংগৃহীত ফটো
ঢাকায় বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান জোরদারের লক্ষ্যে বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে মাঠে নামছেন বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ বিশেষ অভিযান চলবে।
জানা গেছে, দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে মাত্র তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করায় এ বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখার যুগ্ম সচিব শামিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ছাড়াও সভায় ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা করা এখন সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি। অতিরিক্ত দূষণ ও স্বাস্থ্যগত কারণে দেশ জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমপরিমাণ উৎপাদনক্ষমতা হারাচ্ছে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং জনগণকে একটি নির্মল ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।
তিনি এ সময় সব ধরনের অনুরাগ ও বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে সম্পূর্ণ পেশাদারির সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেন।