প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪২ পিএম
ঈদ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে চার স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ব্যাগ বা সামগ্রী সঙ্গে আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কাল দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হতে যাচ্ছে। সে উপলক্ষে সারাদেশে মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবে। আমাদের ঢাকা শহরে অসংখ্য জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
‘জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, কূটনৈতিক, বিদেশি কূটনৈতিক, প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিসহ দেশের অনেক সন্মানিত নাগরিক নামাজ পড়তে আসবেন। প্রায় ৩৫ হাজার লোক একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবে।’
জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। জাতীয় ঈদগাহে আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক মুসুল্লিকে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে ঈদের জামাতে প্রবেশ করতে হবে।’
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আসার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। ঈদগাহে প্রবেশের আগে সবাইকে তল্লাশি করা হবে। এজন্য গেটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাই ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। এখানে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, তাই আমাদের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মুহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।