× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাজনীতি নয়, অবসরে লেখালেখি করবেন বিদায়ি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৭ পিএম

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম

বঙ্গভবন থেকে বিদায় সংবর্ধনার সময় বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। প্রবা ফটো

বঙ্গভবন থেকে বিদায় সংবর্ধনার সময় বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। প্রবা ফটো

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বঙ্গভবন ছেড়েছেন বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। 

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে রাজসিক বিদায় অনুষ্ঠানে আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘আমি রাজনীতি করব বা অন্য কোনো পদে যাব এটা হবে না। আমি তো এখন রিটায়ার্ড। বাড়িতে বসে হয়তো কিছু লেখালেখি করব।’

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।

এখন কী করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড। বাড়িতে বসে হয়তো কিছু লেখালেখি করব। তবে অ্যাকটিভলি রাজনীতি করার পরিকল্পনা আমার নেই। কারণ দেশের মানুষ আমাকে এত বড় ইজ্জত দিয়েছে, এই দেশে দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি করেছে। সুতরাং আবার আমি রাজনীতি করব বা অন্য কোনো পদে যাব, এটা হবে না। এইটা করলে মনে হবে আমি দেশের মানুষকে হেয় করব।’ 

এখন থেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারও শুনেছেন অনেক সময় বলেছি, আমি একটা বন্দি জীবনে আছি, এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ফ্রিলি একটু মুভ করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।’

তার আগে বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপরেই চেয়ার বদলের মধ্য দিয়ে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে স্থলাভিষিক্ত করেন বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। 

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, মুখ্য সচিবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।   

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আরও কথা হবে, এখনও তো বঙ্গভবন থেকে বের হতে পারিনি। বের হলে অনেক কথা হবে। আপনারা আইসেন সময় করে, তখন প্রাণ খুলে, মন খুলে কথা বলব।’

দেশের মানুষ বলে আপনি একজন মাটি ও মানুষের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেখেন আমি সারা জীবন রাজনীতি করেছি মানুষের জন্য। সুতরাং মানুষের বাইরে আমার কোনো চিন্তা ছিল না এবং কোনো দিন থাকবেও না। আমি সব রাজনীতিবিকে এই কথাই বলব, এই দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে তারা যেন রাজনীতি করে। তাহলেই রাজনীতিটা আরও সুন্দর হবে। সেটা দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে আমি প্রত্যাশা করি।’

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে আপনার কোনো মেসেজ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আবদুল হামিদ বলেন, ‘নতুন রাষ্ট্রপতির প্রতি আমার মেসেজ কী, ওনি ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে, সুষ্ঠুভাবে পালন করবে এটাই সারা জাতির প্রত্যাশা, আমারও।’

দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশে হয় নাই, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দুইবার হইছে কিন্তু ১০ বছর কেউ ছিল না। আবার পাকিস্তানেও পাঁচ বছরের ওপর কেউ ছিল না। সুতরাং এই উপমহাদেশে আমি মনে হয় সবচেয়ে বেশি দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কারণ ১০ বছর ছাড়া আরও মনে হয় ৪১ দিন বেশি আছে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। এই হিসেবে আরও ৪১ দিন বেশি আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি স্পিকার ছিলাম। আমার এখানে আসার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু আমি আসছি আরকি। কারণ আমি পার্লামেন্টে সাচ্ছন্দ্যবোধ বেশি করতাম। কারণ ওখানে নিজেকে একটু মুক্ত বলে মনে হতো। আমি জানি এখানে (বঙ্গভবন) আসলে অনেকটা বেড়াজালের ভেতর পড়ে যেতে হবে। যাইহোক, তবুও ১০ বছর পার করে ফেলেছি।’

এদিকে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে বঙ্গভবন থেকে আবদুল হামিদকে বিদায় জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল বিদায়ি রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

এ সময় বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবন গেটে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। মাঝখান দিয়ে খোলা জিপে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। সেখান থেকে তাকে নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। 

মোঃ আবদুল হামিদ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। পরে আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা