× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উৎপাদন দ্বিগুণ, দামে আগুন

ফারুক আহমাদ আরিফ

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১৩:৩০ পিএম

আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১৪:০৮ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

প্রায় নিয়মিতই ইলিশ খাওয়া হতো ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার সকিনা খাতুনের (৮০) পরিবারে। তার স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী। বাজার থেকে ফেরার পথে প্রায়ই ইলিশ নিয়ে আসতেন তিনি। সেই ইলিশ কচু, কুমড়া ও সর্ষে দিয়ে রান্না করে পরিবারের সদস্যদের থালা সাজাতেন তিনি। মচমচে করে ভাজতেন ইলিশের টুকরো। তা ছাড়াও বানাতেন নোনা ইলিশ দিয়ে কুমড়াপাতার পুলি। 

কিন্তু এখন এসব শুধুই স্মৃতি। কতদিন আগে ইলিশ খেয়েছেন প্রশ্ন করলে সকিনা খাতুন বলেন, ‘কবে যে খাইলাম মনে পড়ছে না। এখন তো অনেক দাম। এক কেজি ইলিশের দামে গ্রামে তো দেড়-দুই কেজি গরুর গোশত পাওয়া যায়। ছেলেরা ইলিশ আর কেনে না আগের মতো।’

অথচ ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। দেশে গত এক যুগে এর উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়লেও ইলিশ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ১৫-২০ বছর আগে প্রতিটি পরিবারই কমবেশি ইলিশ কিনে খেতে পারত। বর্তমানে এ মাছ বাজারদরের দিক থেকে গরু বা খাসির মাংসকেও হার মানিয়েছে। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে বর্তমানে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংসে লাগে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। অথচ এক কেজির ইলিশ কিনতে ব্যয় করতে হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ইলিশ এখন বিত্তবানদের খাদ্য। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে প্রতিটি উৎসবেও কদর বেড়েছে এর। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকেও বোঝা যায়, ইলিশের উৎপাদন কত বেড়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশ উৎপাদন হয়েছিল ৭৯ হাজার ১৬৫ মেট্রিক টন, সমুদ্র থেকে আহরিত হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৭ টন। তবে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে উৎপাদন ৮৯২ টন কমে ৭৮ হাজার ২৭৩ টনে নেমে আসে; বিপরীতে ৫৭ হাজার ৫৯১ টন বেড়ে সাগরে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৭৭ হাজার ১২৩ টন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫৬ টন ও সাগরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর উৎপাদন হয় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭২২ মেট্রিক ও সাগরে ৩ লাখ ২১ হাজার ৮৭১ মেট্রিক টন।

উৎপাদন ও আহরণের ক্ষেত্র বাড়ছে

নদী গবেষণাকেন্দ্র চাঁদপুরের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স ডিরেক্টর ড. আনিসুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে মা ইলিশ যখন ডিম ছাড়ে, তখন তাদের প্রজননক্ষেত্রকে নিরাপদ করে দিতে পারলে উৎপাদন বাড়বে। সেই চিন্তা থেকেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়। একেকটি অভয়াশ্রম একেকটি রুপালি ইলিশের খনি। বর্তমানে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদে ইলিশ প্রজননের আরেকটি অভয়াশ্রম হচ্ছে। প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে, পানিকে দূষিত করা না হলে, পলি জমতে না দিলে, সূর্যের আলো আসতে দিলে ইলিশ মানসম্মত প্রচুর খাবার পাবে।’ তিনি বলেন, ‘পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গেছেন। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না।’ অর্থাৎ ইলিশ তার প্রজননের সুবিধাজনক তাপমাত্রার নতুন ক্ষেত্র বা পরিবেশ খুঁজে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শুরুর দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বলেশ্বর নদ ও মোহনা অঞ্চলের প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটিকে ইলিশের পঞ্চম প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ১০১৮-২১ সালে বলেশ্বর নদে ইলিশ প্রজননক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলে। এ এলাকার মধ্যে পড়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগী বন্দর থেকে পক্ষ্মীরচর-সংলগ্ন পয়েন্ট পর্যন্ত এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নের লেবুর বাগান পয়েন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা। এর আগে মায়ানী-মীরসরাই, পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্ট-তজুমুদ্দিন, গন্ডামারা-বাঁশখালী ও লতাচাপালীর কলাপাড়া এলাকার মোহনা অঞ্চলে আরও চারটি প্রজনন এলাকা শনাক্ত করা হয়।

ইলিশসম্পদ নিয়ে গবেষণা শেষের দিকে 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী গবেষণাকেন্দ্র চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশসম্পদ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, উপকূলীয় অঞ্চল ও সাগরে কী পরিমাণ ইলিশসম্পদ আছে, এসব ক্ষেত্র থেকে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা যাবে, কত মজুদ করতে হবে- এসব নিয়ে গবেষণা প্রায় শেষের দিকে। ইলিশ ধরার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সহনশীলতা দুবার নিরূপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ সালে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৯ হাজার টন ও ২০১৯-২০ সালে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ২ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়ে।’

এ গবেষক বলেন, ‘উৎপাদন সুনিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক ইলিশকে তাদের জীবনচক্রে কমপক্ষে একবার ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে হবে। একটি ইলিশ ৩ থেকে ২৩ লাখ ডিম দিয়ে থাকে। মাঝারি মানের ইলিশ গড়ে ৮ থেকে ১০ লাখ ডিম ছাড়তে পারে। যার ৫০ শতাংশ পোনা হয়। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পোনা টিকে গেলেও সেগুলো থেকে প্রচুর ইলিশ উৎপাদন হবে। এজন্য ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে হবে। 

আশরাফুল আলম বলেন, ‘ইলিশ রক্ষায় সরকার পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। জেলেদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। জাটকা ধরা পুরোপুরি বন্ধ করা গেলে আরও অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন সম্ভব। এজন্য বিশেষ করে মার্চ-এপ্রিল ও অক্টোবর-নভেম্বরে ডিম দেওয়ার সময় মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। নিরাপদ প্রজননে সুযোগ দিতে হবে। জেলেদের সাড়ে ৬ সেন্টিমিটারের জাল ব্যবহারের নির্দেশনা নিবিড়ভাবে কার্যকর করতে হবে। যাতে ২৮-৩০ সেন্টিমিটারের ইলিশগুলো বেরিয়ে গিয়ে ডিম দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘জেলেদের নৌকাগুলোকে ডিজিটাল ট্রেকিংয়ের মধ্য নিয়ে আসা গেলে তারা কোথায় কী পরিমাণ মাছ ধরছে, তা হিসাব করা যাবে। বর্তমানে জাতীয় তথ্যভান্ডারে কেবল প্রধান ল্যান্ডিং স্টেশনের তথ্য থেকে হিসাব করা হয়। প্রান্তিক জেলেদের তথ্য সংযুক্ত হলে উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে।’

প্রজননশক্তি ও মৌসুম

ইলিশ নিয়ে ১৯৮৭ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষ ইলিশের আকার ২৬-২৯ সেন্টিমিটার হলে এবং মেয়ে ইলিশের আকার ৩১-৩৩ সেন্টিমিটার হলে তাদের পরিপক্বতা আসে। অক্টোবর-নভেম্বর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। সম্পূরক সময়ের মধ্যে আছে জুন-জুলাই ও ফেব্রুয়ারি-মার্চ। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে মৌসুমি বায়ু বইতে থাকলে ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সমুদ্র থেকে মোহনা আর বড় নদীতে স্বাদুপানির স্রোতের উজানে অগভীর পানিতে উঠে আসে এবং ডিম ছাড়ে। মুক্ত ভাসমান ডিম থেকে পোনা বেরোয়। জাটকা নদীর ভাটিতে নেমে সমুদ্রে পৌঁছে বড় হয়। পুরুষ ইলিশের আকার ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার আর মেয়ে ইলিশের আকার ৪৬ সেন্টিমিটারের বেশি। ইলিশের প্রজননশক্তি নির্ভর করে শরীরের আকার ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে। ২৫ থেকে ৫৫ সেন্টিমিটার আকারের একটি ইলিশ আনুপাতিক হারে দশমিক ১ থেকে ২ মিলিয়ন ডিম ছাড়তে সক্ষম। 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র চাঁদপুর থেকে গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠপর্যায়ে ‘প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন প্রজননক্ষম ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকরণের প্রভাব নিরূপণ’-বিষয়ক একটি গবেষণা সমীক্ষা চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধান ড. খোন্দকার রশীদুল হাসান। এ সময় ৭-২৮ অক্টোবরের পূর্বে পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন প্রজনন অঞ্চলসহ ইলিশের সব গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে (৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মৌলভীরচর, মনপুরা, ঢলচর ও কালীরচরসহ) গবেষণা পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন ল্যান্ডিং স্টেশনেও প্রজননের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়, ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছে। এটি ভিত্তিবছর ২০০১-০২ সালের তুলনায় ১০৩ শতাংশ বেশি।

মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে : মৎস্যমন্ত্রী

মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, ’২০ থেকে ৩০ বছর আগে মানুষ জুন-জুলাই মাসে ইলিশ খেত। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। আধা কেজি ওজনের মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে এটি ঠিক যে, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম অনেক বেশি।’

ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছেÑ এ অভিমতের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এখনও সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে।’ মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ উৎপাদন। মূল্য নির্ধারণ বা বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নয়।’ 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) বর্তমানে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের বেশি, যা টাকার অঙ্কে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। মৎস্যে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান ৫ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ বিশ্বের ১১টি ইলিশসমৃদ্ধ দেশের মধ্যে প্রথম। বিশ্বের ৮০ শতাংশ ইলিশই এদেশে উৎপাদন হয়। মোট উৎপাদিত মাছের মধ্যে ইলিশের অবদান ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ।’

মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, ‘ইলিশ রাজকীয় মাছ। এর দাম কিছুটা বেশি হতেই পারে। ইলিশ যেন সবাই তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারেন, সেজন্য জাটকা নিধন বন্ধ, অবৈধভাবে মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেজন্য এর রপ্তানি আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পূজার সময় পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে কিছু ইলিশ সরবরাহ করা হয়। এটি রপ্তানি নয়, বরং কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পন্থা।’

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগ

ইলিশসম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে ‘হিলশা ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান ২০০৪-০৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে ইলিশের সহনশীল উন্নয়নে সুপারিশকৃত ১৬টি স্ট্রাটেজি অনুসরণ করে দেশের ইলিশসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। 

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২০১১ সালে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী অক্টোবর মাসে ভরা প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাসহ সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং বিনিময় নিষিদ্ধ করে প্রতিবছর প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে। জাটকা রক্ষায় বিদ্যমান আইনও সংশোধন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা