প্রবা ফটো
রাজধানীতে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছরক্ষা আন্দোলন’-এর কর্মীরা। রবিবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোয়েল চত্বর থেকে একটি মিছিল নিয়ে নগর ভবনের দিকে যাত্রা করেন পরিবেশকর্মীরা। মিছিলটি বঙ্গবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে এবং মেয়রের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে শনিবার বিকালে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সামনের চত্বরে ‘গাছের জন্য নগর ভবন ঘেরাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনকর্মী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মেয়র শেখ তাপসের উচিত ছিল প্রথমেই আমাদের মুখোমুখি হওয়ার। তার সিদ্ধান্তটা কেন যৌক্তিক, আর আমাদের অবস্থানই বা কেন অযৌক্তিক তা দেখার দরকার ছিল। কিন্তু তিনি কোনো আগ্রহ দেখেননি। আমরা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছি বলে আমাদের প্রতিনিধি দলকে নগর ভবনে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার আগে আমরা নগর ভবনে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন তারা আমাদের ঢুকতে দেয়নি। জবাবদিহিতার জায়গা থেকে তিনি জনগণের মুখোমুখি হতে চান না।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ নূর বলেন, কর্মসূচির খবর পেয়ে সকাল থেকেই নগর ভবন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসে আমাদের দাবিসংবলিত লিফলেট নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সারা দেশে ও ঢাকায় নির্বিচারে প্রাণপ্রকৃতি-পরিবেশ ও বৃক্ষ হত্যা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সাতমসজিদ সড়ক গাছরক্ষা আন্দোলনের ‘গাছর জন্য নগর ভবন ঘেরাও’ শীর্ষক এ কর্মসূচি পালন করছি। গাছ কাটা বন্ধ না হলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
এদিকে পুলিশি বাধার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, মেয়র পূর্বনির্ধারিত সভায় থাকায় আসতে পারেননি। মেয়রের পক্ষ থেকে তিনি এসেছেন।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করেই উন্নয়নের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। নগরবাসীর দাবিগুলো মেয়রকে জানানো হবে।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো, ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কসহ ঢাকার পাবলিক পরিসরে উন্নয়নের নামে যখন-তখন গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। কাটা গাছের স্থানে বৈচিত্র্যময় দেশি প্রজাতির গাছের চারা লাগাতে হবে। জনগণের করের টাকায় লাগানো গাছ কেটে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নামে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নগর উন্নয়নে প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষ ও নগরবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন হক, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির প্রমুখ।
গাছ কাটার প্রতিবাদে বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। সবশেষ ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে দক্ষিণ সিটির গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সেমিনার করেন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচিতে অংশ নেন পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.