পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত ২-৩ দিনের মধ্যে : কৃষিমন্ত্রী

এখনও পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। বাজারে দাম বাড়ার পর এখন কমতির দিকে আছে। বাজার, কৃষক, গুদাম ও আড়তদারদের কাছে কী পরিমাণ মজুদ আছে, সেটির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না।

রবিবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব জানান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুদ ভালো ছিল। দাম ছিল কম। কৃষকও কম দামে বিক্রি করেছে। অনেকে দাম বৃদ্ধির আশায় মজুদ করেছিল, কিন্তু অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। এ বছর উৎপাদন কম হয়েছে দুই লাখ টনের মতো। পরিস্থিতি আরও কিছু দিন দেখতে চাচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুদ আছে। দাম বৃদ্ধির জন্য অনেকে মজুদ করে রেখেছে। বিক্রি করছে না। পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম বাড়ায় মধ্যম ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা শেষ পর্যন্ত কৃষকের স্বার্থ দেখতে চাচ্ছি। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না, এ ব্যাপারে ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি সংরক্ষণ করা কঠিন। শুকিয়ে যায়, পচে যায়। আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে সংরক্ষণ করা যায়। যদি শেলফ লাইফ বৃদ্ধি করা যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।’

বাংলাদেশের ওপর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণ দেখছি না। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। তারা বাস্তবতা বুঝবে। বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সহযোগিতা করবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কোনো দিনই কামনা করি না। এটি সহজভাবে নিতেও পারি না। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে। ছয় মাস পর আরেকটি নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ীই সেই নির্বাচন হবে।’