ভোলায় নতুন করে বিপুল পরিমাণে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রবা ফটো
ভোলায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস পাওয়া গেলও তা বড় পরিসরে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অল্প পরিসরে কেবল ভোলাতেই ব্যবহার হচ্ছে। এই গ্যাসে এবার ট্রাকে করে সরবরাহের চুক্তি হয়েছে। বেসরকারি খাতের ইন্ট্রাকো গ্রুপকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ইনট্রাকো ভোলা থেকে গ্যাস পরিবহন ও বিক্রি করবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই গ্যাস ভোলার বাইরে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
রবিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইন্ট্রাকোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি সই করেন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির পক্ষে সচিব শাহ আলম মোল্লা ও ইন্ট্রাকো গ্রুপের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রিয়াদ আলী।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সরকারের সবচাইতে বড় প্রচেষ্টা হচ্ছে সমকালীন সমস্যা সমাধান করে এগিয়ে যাওয়া। দেশের বেসরকারি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, তারাও সরকারকে সহায়তা করবে। আমরা পাইপলাইনের জন্য অপেক্ষা না করে ভোলা থেকে এভাবে বেশি করে গ্যাস আনতে পারি কি না, সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার ওপর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র জানায়, শুরুতে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ভোলা থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় আনা হবে। সেখান থেকে ক্রেতাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে। স্বল্প চাপ রয়েছে এমন শিল্প এই গ্যাস কিনবে বলে আশা প্রকাশ করছেন উদ্যোক্তারা।
এখন প্রতি ঘনমিটার শিল্পের গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। ভোলার গ্যাসের দাম সেই হিসেবে অনেক বেশি। গ্যাস বিক্রি করে ঘনমিটারপ্রতি ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা পেট্রোবাংলাকে বুঝিয়ে দেবে ইনট্রাকো। ক্রেতা খোঁজা বা গ্যাস বিক্রির বিল আদায়—কোনো দায়িত্বই নিচ্ছে না পেট্রোবাংলা।
ট্রাকে গ্যাস পবিরহন করা দেশে নতুন নয়। আগে থেকেই বিআরবি কেবল ফ্যাক্টরি এই প্রক্রিয়ায় গ্যাস পরিবহন করে কুষ্টিয়ার ফ্যাক্টরি চালাত। যদিও এটা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সেই বিতর্কের বাইরে গিয়ে দেশের জ্বালানি সংকট মেটাতে ভোলার গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এজন্য চলতি মাসের শুরুতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। এ ধরনের গ্যাস পরিবহনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এত দিন ঝুঁকি বিবেচনায় যা করতে চায়নি সরকার। সূত্র জানায়, ভোলাতে এখন তিনটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। প্রতিদিন অন্তত ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব এখান থেকে। নতুন করে আরও পাঁচটি উন্নয়ন কূপ খনন করার উদ্যোগ নিচ্ছে বাপেক্স। এতে আরও ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।
ইতোমধ্যে ভোলায় পাইপলাইন করার জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যেমন সময় সাপেক্ষ তেমনি ব্যয় সাপেক্ষ। ভবিষ্যতে পাইপলাইন হলে ট্রাকে গ্যাস পরিবহন ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে না বলে সূত্র জানায়। ভোলা থেকে নৌপথে লক্ষ্মীপুর হয়ে সড়কপথ দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। খনি থেকে গ্যাসভর্তি ট্রাক ফেরি পার হয়ে সড়ক ধরবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ভোলায় আমাদের গ্যাসের মজুদ তিন টিসিএফের কাছাকাছি।
অনুষ্ঠানে ভোলার সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, জ্বালানি সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বক্তব্য দেন।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.