নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ফাইল ছবি
সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে রবিবার (২১ মে) নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে একটু হলেও অর্জন হয়েছে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা জানেন যে আরপিওতে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য প্রধান অনুচ্ছেদটা হচ্ছে ৯১-এর ক। ৯১-এর ‘ক’ যেটা আছে সেটা কিন্তু নির্বাচনপূর্ব পর্যন্ত, নির্বাচন চলা পর্যন্ত কমিশনের একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতায় কমিশন কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি হলে তা নজরে এলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা তো আছেই আইনে, এক্সিসটিং।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার পর কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় কিন্তু অনেক সময় অভিযোগ আসে। এই সময়টার মধ্যে কোনো অভিযোগ এলে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। যদি বড় ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে- সত্যিকার অর্থেই বড় কোনো অনিয়ম ঘটে গেছে, সেটা রেখেই যদি একটা গেজেট করে দেওয়া হয়, তখন কিন্তু যারা অভিযোগ তোলেন তাদের একটা কষ্ট থেকেই যায়। কমিশনের প্রতি একটা অনাস্থা থেকেই যায়, আমরা একটা অভিযোগ দিলাম, কমিশন যাচাই-বাছাই কিছু না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রেজাল্ট দিল সেটাই তারা বাস্তবায়ন করে ফেলল। একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। একটা নির্বাচন করছেন, কাজেই তার কথাটা তো আমলে নেওয়া উচিত। তবে কমিশনের হাতে কোনো সুযোগ নেই। আমরা সেইখানেই একটা নতুন প্রস্তাব পাঠালাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা প্রস্তাব পাঠালাম ৯-এর ‘ক’র সঙ্গে ক-এর ক বলে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করতে। সেখানে এমন কোনো অনিয়মের তথ্য বা অভিযোগ এলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে। এরপর তদন্ত করে অভিযোগটার সত্যতা পেলে সেই কেন্দ্র বা আসনটার ভোট বাতিল করার জন্য চাচ্ছিলাম। সম্ভবত মন্ত্রিপরিষদ ওইখানে পুরো আসনের (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে সেটা খণ্ড করে আংশিকভাবে একটা অনুমোদন দিয়েছে। আমরা পুরোটা কপি এখনও দেখিনি। পেপার পত্রিকায় যতটুকু দেখতে পেয়েছি।
বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, বিভ্রান্তি যেটা হয়েছে, অনেকে মনে করছেন যে ৯১(ক)-তে যে ক্ষমতাটা ছিল, নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার যে সুযোগটাÑ সেটা বোধ হয় খর্ব করা হয়েছে। বিষয়টা তা নয়। আমি যতটুকু বুঝি, ওইটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওইটা চাই-ই নাই।
তাহলে গাইবান্ধার মতো ভোট বন্ধ করতে পারবেন কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যতটুকু বুঝি যে আমরা পারব। কারণ আমরা ৯১ (ক) নিয়ে কোনো প্রস্তাবই দিইনি। যেটা প্রস্তাব যায়নি, সেটা তো বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।
আপনাদের ক্ষমতা বাড়ল না কমল জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় যেখানে ছিলই না, সেখানে তো কিছুটা হলেও বাড়ল। পুরোটা বাতিলের ক্ষমতা পেলে ভালো হতো। পুরোটা না হলেও যেটুকু হয়েছে আমরা তো মনে করি ছিল-ই না, কিছুটা তো হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি যে একটু হলেও অর্জন হয়েছে।
পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, কমিশনের কাছে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা আসলেই চাই সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হোক। কমিশনের ইচ্ছার কোনো কমতি নেই।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.