প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩ ১৯:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩ ২০:০৯ পিএম
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ‘সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায়’ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে কমিশন। ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসিটিভিতে দুই জায়গায় অনিয়ম দেখেছে কমিশন এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা দুজনকে ইসির নির্দেশে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে গাজীপুর সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করে কমিশন। তবে সিসিটিভির কক্ষে সার্বক্ষণিক সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সারা দিনে তিনবার ১০ মিনিটের মতো করে ভেতরে থাকার সুযোগ পেয়েছেন সংবাদকর্মীরা। এ দিন সাড়ে ১০টার দিকে একবার ব্রিফ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ ছাড়া ভোটের দিন কমিশনের ১৯তম সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক টিমের কাছ থেকে আমরা একই খবর পেয়েছি যে গাজীপুর সিটিতে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। যেসব প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই বলেছেন নির্বাচনব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এই নির্বাচনে যে ফল আসুক না কেন, তারা সবাই মেনে নেবেন।’
নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’নির্বাচনী আইনে আছে যে নির্বাচনে শেষ সময় পর্যন্ত যদি ভোটার উপস্থিতি থাকে, তাহলে ভোটারের ভোট না নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্যালটের ক্ষেত্রে যেই নিয়ম, ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।’
কত শতাংশ ভোট পড়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের কম হবে না। মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্যটা পাওয়া যাবে।’
সিসিটিভিতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা অনেক সময় লাইন না ধরা, কারও ভোট আগে নেওয়া এ ধরনের কিছু বিষয় আমাদের কাছে ধরা পড়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছিলাম, এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন আমরা তাদের ফোন দিয়ে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের ও পুলিশের নজরে আর কোনো ঘটনা আসেনি। প্রায় ৪ হাজার সিসিটিভিতে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। এগুলো আবার একসঙ্গে দেখা যায়নি। এগুলো পর্যায়ক্রমে দেখতে হয়েছে। একবারে তিন থেকে চারশ সিসিটিভি দেখা গেছে। সিসিটিভির এই উদ্যোগই আমাদের সফলতা। সিসিটিভিতে যেগুলো ধরা পড়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
কেন্দ্রে জায়েদা খাতুনের এজেন্ট না থাকার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে অবস্থানরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও আমাদের বলেছে, এ রকম কোনো কিছু হয়নি।’
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্র নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। রাষ্ট্র-রাষ্ট্র বুঝবে। এটা নির্বাচন কমিশনের কিছু না।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আপনারা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আপনারাও সন্তুষ্ট এবং আপনাদের প্রতিনিধিরাও সন্তুষ্ট। একই সঙ্গে ভোটাররা সন্তুষ্ট ও প্রার্থীরাও সন্তুষ্ট।’
এটা আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমেই প্রকাশ করেছেন, যোগ করেন তিনি।