প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ২১:২৫ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ২২:০৩ পিএম
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়েও কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করার পরও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফল প্রকাশে দেরি হওয়া নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ সর্বশেষ ফল পেতে রাত আনুমানিক দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে শুক্রবার (২৬ মে) জানতে চাইলে গাজীপুরে সরেজমিনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’কেন্দ্র থেকে যেভাবে এসেছে সেগুলো কম্পাইল করে ঘোষণা করা হয়েছে। আপনারা কী বলতে চাচ্ছেন, বসে বসে ম্যানুপুলেশন করেছে?’
তিনি বলেন, ’গাজীপুর সিটিতে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র। ফল এলে সেটি চেক না করে তো ঘোষণা করবে না। ফল এলে এন্ট্রি করে তারপর ঘোষণা করা হয়েছে। ফল ঘোষণা তো একইভাবে করা হয়েছে। কখনও তো স্লো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ’একটি সংসদীয় আসনে দেড়শ থেকে সর্বোচ্চ দুইশ ভোটকেন্দ্র থাকে। সেখানে গাজীপুরে ছিল ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র।’
ফল নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ’সেখানে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা কেন্দ্রে ছিল তারা তো রাত আটটার মধ্যেই জেনে গেছে যে জায়েদা খাতুন জিতেছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজয়ী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বেসরকারি ফলের শিট অনুযায়ী, এই সিটির ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন, যা মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জামানত বাঁচাতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের কমপক্ষে আট ভাগের এক ভাগ পেতে হবে। এই সিটিতে ভোট পড়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০টি। সেই হিসেবে জামানত বাঁচাতে প্রত্যেক প্রার্থীর কমপক্ষে ৭১ হাজার ৮৮১ ভোট প্রয়োজন ছিল। সেই হিসাবে বিজয়ী জায়েদা খাতুন ও নৌকার আজমত উল্লা খান ছাড়া বাকি ছয়জন মেয়র প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াদের মধ্যে, মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪, লাঙল প্রতীকের এমএম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকের গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন অর রশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।