প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
ফাইল ফটো
‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২৩’ খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার অনুমোদন দেওয়ার পর এখন অপেক্ষা জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাবে মানুষ। এতদিন যে কাজটি করে আসছিল আরেক সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সরকারের এমন পদক্ষেপে ‘আপত্তি’ নেই ইসির। সংস্থাটি বলছে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। পুরোনো আইনে এনআইডি কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়ছে ইসি। এখন সেই আইন সংশোধন করে অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কিছু দায়িত্ব আছে। এনআইডি কার্যক্রমের দায়িত্ব ছিল না। পরে আইন করে তা দেওয়া হয়। রাষ্ট্র যে দায়িত্ব দেবে, ইসি তা পালন করবে। সে অনুযায়ী ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়। আইন করে তার উপজাত হিসেবে প্রায় ৮ কোটি ৩ লাখ ভোটার তালিকা থেকে এনআইডি দেওয়া শুরু হয়। এ দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন।’
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আইন করে সরকার এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন সে আইন সংশোধন করে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিচ্ছে। এ নিয়ে কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই। রাষ্ট্রের দেওয়া দায়িত্ব যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পালন করবে। রাষ্ট্র যখন এ দায়িত্বটা অন্য কাউকে সম্পাদন করতে বলবে, তখন অন্যরা সম্পাদন করবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্য মেনে চলছে, চলবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনটির খসড়া আমরা এখনও দেখিনি। মন্ত্রিপরিষদ সভায় গতকাল (সোমবার) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদে যাবে। সংসদে এটি বিল আকারে উত্থাপিত হবে। পরে সংসদীয় কমিটিতে যাবে। কমিটি রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট দেওয়ার পর পুনরায় সংসদে উঠবে। সংসদে ওঠার পর আইন আকারে পাস হবে। তারপর আমরা বলতে পারব আসলে কী হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘এখন দুই ধরনের আইন হয়। একটায় বলা থাকে অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর গেজেট প্রজ্ঞাপন থেকেই কার্যকর হয়। কিছু কিছু আইন থাকে যেখানে বলা হয়, এ আইন গেজেট প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে বলবৎ হবে। সে ক্ষেত্রে কী আছে আইনে তা যেহেতু আমরা জানি না, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলতে পারবে।’