ঈদযাত্রা নিয়ে আইজিপি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
গাবতলী বাস টার্মিনাল ও পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সংগৃহীত ফটো
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সড়কে থাকবেন ডিআইজি, এডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। অভিযোগকারীদের ডাকে সাড়া দিতে পুলিশের জন্য মোটরসাইকেলের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ও স্থায়ী পশুর হাট সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইজিপি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদুল ফিতরে সবার সার্বিক সহযোগিতায় ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হয়েছেন ও যার যার গন্তব্যে নির্বিঘ্নে এবং যথাসময়ে যেতে পেরেছেন। এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় পুলিশের দায়িত্ব বেশি। এবার সড়কে শুধু ঈদযাত্রায় কোরবানির হাটের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। পাশাপাশি মৌসুমি ফল ও কোরবানির হাটে পশুবাহী যানবাহনকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে। মালিক শ্রমিক, পশুর হাটের ইজারাদার ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় অনেক অভিযোগকারীকে যথাসময়ে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই অভিযোগকারীদের ডাকে যাতে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়, সেজন্য পুলিশের মোটরসাইকেল পার্টির ব্যবস্থা রয়েছে।
ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন না চালানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালি পিকাপভ্যান বা ট্রাকে যাত্রী হিসেবে উঠবেন না। এরপরও যদি কোনো যাত্রী ট্রাক-পিকাপে ওঠেন তাহলে পুলিশ সদস্যরা দেখামাত্রই তাদের সড়কে নামিয়ে দেবেন।
আইজিপি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, ছিনতাইকারিসহ যারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। প্রতারণামূলক কাজে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে খবর দিন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। মার্কেটে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম নিয়োজিত রয়েছে। কেউ ভোগান্তিতে বা প্রতারিত হলে, অপরাধের শিকার হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশকে জানান পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।