প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৪ পিএম
মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স। সংগৃহীত ফটো
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে শুক্রবার (৪ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রেস নোটে এ কথা বলা হয়।
একই সঙ্গে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স প্রেস নোটে বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংসতার চিত্র দেখা গেছে। সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধীদলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে এসব অধিকারচর্চার প্রচেষ্টাকে দমিয়ে দিতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তারা যেন শুধু যেখানে অত্যন্ত প্রয়োজন সেখানেই বলপ্রয়োগ করে। আর সেক্ষেত্রেও এই বলপ্রয়োগ হতে হবে বৈধ, সংযমের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে।