প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৬ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:০০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাইয়ে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হলেও ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হবে। তার মধ্যে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের তীব্রতা থাকবে। পরের পাঁচদিন কম বৃষ্টি হবে। এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য না থাকায় গরমের অনুভূতি থাকবে। বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়ায় ৭১ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৬৮ মিলিমিটার ও ভোলায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তা ছাড়া প্রায় সব বিভাগেই কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’
এ দিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি অঞ্চলে উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে এ অঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীসমূহের যেমন সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালি ভোগাই-কংশ, সোমেশ্বরী যাদুকাটার পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাতে করে মহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু এবং মাতমুহুরীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে ঘণ্টাখানেক মুষলধারে বৃষ্টি হলেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার বংশালসহ পল্টন, নয়াপল্টন, তেজগাঁও, মালিবাগ, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিলের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। এতে বিপাকে পড়ছেন পথচারীরা। তা ছাড়া শুক্রবার দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুরেও কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে।
এতে বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও মসজিদের আসা মুসল্লিরা।
তেজগাঁও তেজকুনিপাড়ার সাঈদুর রহমান নামের এক মুসল্লি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজে আসতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। আমাদের এলাকার ছোট রাস্তাটিতে অনেক জায়গায় পানি জমে গেছে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, বংশাল, বঙ্গবাজারের রাস্তা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। কদমতলীর জিয়া সরণীর প্রধান সড়কের খাল ভরে রাস্তাও তলিয়ে গেছে। তা ছাড়া উন্নয়ন কাজ চলায় সায়দাবাদের দয়াগঞ্জ, জুরাইন, মীরহাজিরবাগের মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব জায়গায় উন্নয়ন কাজ চলায় বৃষ্টিতে পানি জমে গাড়ি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
মিরপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মিরপুরে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে না গেলেও বেশ কিছু স্থানে অল্প জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মুগদা এলাকার বাসিন্দা দিদার হোসেন বলেন, মোটামুটি বৃষ্টি হলেই মুগদার রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। বিশেষ করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তায় প্রায় কোমর পানি জমে যায়। এতে রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাত্র ২০ ফিট রাস্তা রিকশায় পারাপারে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা।