× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘ডিএনএ নমুনায় আসা দুজন এখনও শনাক্ত হয়নি’

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৭ পিএম

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০০:৩৫ এএম

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহরুন রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহরুন রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষার পর সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির নমুনা পাওয়া গেছে। কিন্তু তাদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এ কারণে আটকে আছে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। তাদের শনাক্ত করা গেলে মামলাটির রহস্য উন্মোচন হতে পারে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। 

এদিকে বহুল আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০০ বারের মতো পিছিয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (৭ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেনি র‍্যাব। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব বলছে, তদন্তে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। প্রকৃত অপরাধীরা এখনও শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে দেরি হচ্ছে। সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামি শনাক্তের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় লাগে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা তদন্ত করছি। ঘটনার পর যাদের আসামি হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে পুলিশ বা র‌্যাব যাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছিল তাদের সবার আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ নমুনা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। ওই সংস্থা থেকে আসা প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে সেখানে সন্দেহভাজন দুজনের নমুনা পাওয়া গেছে। এই দুজন কারা আমরা সেটা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।’

তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা। কেউ যেন এখানে ভিক্টিমাইজ না হন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি একদম ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকার পরও তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম চলে যায়। আবার অনেকে আছেন যিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন। আমরা এই ধরনের কোনো বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শেষ করতে বেশি সময় লাগে।’

সন্দেহভাজন দুজন সম্ভাব্য অপরাধীকে শনাক্ত করা র‍্যাবের জন্য অনেক কঠিন হচ্ছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই ঘটনার পরবর্তীতে আলামত সংগ্রহ করা ছিল জটিল কাজ। এই সাংবাদিক দম্পতি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন, ঘটনার পর অকুস্থলে অনেক মানুষ গিয়েছিলেন। তাদের কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে গেছে।’ 

এখন পর্যন্ত র‍্যাব ও পুলিশ যতজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে ওই দুজন সন্দেহভাজন ছিল কি না প্রশ্ন করা হলে র‌্যাবের এ মুখপাত্র বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ হয় আমরা এমন ২৫ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আমরা দুজন সন্দেহভাজন পেয়েছি; যাদেরকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করা গেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে তাতে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা সুনিশ্চিত না তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।’ 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান। আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেনÑ বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের সবাইকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা