প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩২ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৬ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। প্রবা ফটো
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ পলাতক আসামির সন্ধান দিতে পারলে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেবে সরকার। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় এসব বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী’ উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাতজনের মধ্যে সরকার দুজনের তথ্য পেয়েছে। দুই খুনির খবর আমরা জানি। একজন যুক্তরাষ্ট্র ও আরেকজন কানাডায়। বাকি পাঁচজন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদি কোনো নাগরিক ওই পাঁচজনের তথ্য দিতে পারেন, তবে তাকে পুরস্কৃত করবে সরকার।’
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেক চিঠিপত্র দিয়েছি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েও আমরা আমেরিকার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা সব সময় বলে, এ ইস্যুটা তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আছে। মাঝখানে অ্যাটর্নি জেনারেল আমাদের দেশে যে রাশেদ চৌধুরীর নামে মামলা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন। আমরা সব তথ্য তাকে দিয়েছি। আমরা এখন স্টেট ডিপার্টমেন্টে অ্যাপ্রোচ করলে তারা বলে, এটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে।’
কানাডায় অবস্থান করা খুনি নূর চৌধুরী প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’কানাডিয়ান সরকার তাকে ফেরত দিচ্ছে না।’
রাশেদ-নূরকে না ফেরত দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সমালোচনা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ’কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যেখানে আইন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেখানে তারা খুনিদের আশ্রয় দিতে পারে না। যে খুনিরা কিনা ভয়ংকর কাজ করেছে।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে মোমেন বলেন, ’প্রবাসীদের বলব, খুনিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনারা খুনির বাড়ির সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। অন্তত মাসে একবার হলেও এটা ঘটা করে করেন, তাদের দেখলে বলেন- ‘খুনি যাচ্ছে’। এতে করে তারা মনঃপীড়ায় পড়বে। ওখানকার সাংবাদিকদের নিয়ে আপনারা আন্দোলন করেন।‘