প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫০ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হতে যাওয়া ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াটরার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সামিটের ফাঁকে কোন কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তার কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ব্রিকসের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে ভারত সমর্থন করবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে গেছেন কোয়াটরা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরসূচি এতটাই ঠাসা যে তাতে খুব বেশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগই হচ্ছে না।
সূত্রটি জানায়, মঙ্গলবার বিকালে জোহানেসবার্গে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পুরো আড়াই দিন সেখানে থাকবেন। তারপরও সামিটের ফাঁকে তাঁর আলাদা এই ‘বাইল্যাটারাল’গুলো অ্যকোমোডেট করতে সংশ্লিষ্টরা হিমশিম খাচ্ছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা সেই সঙ্গে আভাস দিচ্ছেন, জোহানেসবার্গে একান্ত সম্ভব না-হলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসবেন তখন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা থাকবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে বাংলাদেশ যে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিতে ইচ্ছুক, সে কথা ইতিমধ্যেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।
কিন্তু ব্রিকসের সম্প্রসারণ নিয়ে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভারতের অবস্থান ঠিক কী, সেটা নিয়ে আস্তিনের সব তাস তারা এখনো বের করেনি। এমন কী কোন কোন দেশকে তারা সমর্থন করবে সেটাও এখনও কিছু জানায়নি।
এই পটভূমিতে জোহানেসবার্গে মোদি-হাসিনা বৈঠক হলে সেটা বাংলাদেশের প্রার্থিতার সমর্থনে অবশ্যই ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেবে।
কিন্তু কোনো কারণে সেই বৈঠক সম্ভব না-হলে সেটাকে ঢাকার জন্য একটা ‘কূটনৈতিক হোঁচট’ হিসেবে দেখা হতে পারে।