প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪০ এএম
আইভি রহমান। ফাইল ফটো
আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী বেগম আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার দিন পর ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আইভি রহমান।
আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। এতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইভি রহমানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগ ও তার পরিবারের লোকজন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খতম, ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কমলপুর এলাকায় বেগম আইভি রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিকাল ৪টায় শহরে শোক র্যালি করা হবে।
আইভি রহমান ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরবের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এবং দুই মেয়ে তানিয়া রহমান ও তনিমা রহমান ময়নার জননী। ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। মেয়ে তানিয়া রহমান বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
স্বাধীনতার আগে আইভি রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ভারত গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০০৪ সালে মৃত্যুকালে তিনি আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি এই পদ পান।