এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭ এএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বেড়েছে। ছবি : আরিফুল আমিন
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড হয়েছে। প্রথম দিনের চেয়ে প্রায় ৫ হাজার গাড়ি বেশি চলেছে। ফলে টোল আদায়েও হয়েছে রেকর্ড। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই দ্রুতগতির উড়ালসড়ক দিয়ে ২৭ হাজার ১২১টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে সড়ক কর্তৃপক্ষ টোল পেয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
এর আগে খুলে দেওয়ার প্রথম দিন রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই দ্রুতগতির উড়ালসড়ক হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায় ২২ হাজার ৮০৫টি গাড়ি। টোল আদায় হয়েছিল ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় দিন বিমানবন্দর থেকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ হয়ে মহাখালী ও ফার্মগেট পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩০০ যান চলাচল করেছে। কুড়িল থেকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী ও ফার্মগেট পর্যন্ত চলে গন্তব্যে পৌঁছেছে ৩ হাজার ১০৫টি বাহন। আর এদিক থেকে অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, কুড়িল ও বিমানবন্দর পৌঁছায় ৬ হাজার ৭২৮টি যানবাহন।
রাজধানীবাসীর বহুলপ্রতীক্ষিত দ্রুতগতির উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। কাওলার থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও মানিকনগর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)।
গত শনিবার এটির একাংশ সাড়ে ১১ কিলোমিটার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার থেকে ওই অংশ অর্থাৎ বিমানবন্দরের কাওলার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এ পথ পাড়ি দিতে ব্যয় হচ্ছে মাত্র ১০-১২ মিনিট।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, রবিবার বিকাল পর্যন্ত যেসব যান চলাচল করেছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ছিল প্রাইভেট কার।
তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে না দুই ও তিন চাকার কোনো যান, যা আগে থেকেই কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া এই এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতে এবং যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। পথচারী উঠতে ও চলাচল করতে পারবে না।