প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩২ পিএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি যান। সেখানে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সহজীকরণ।
জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ’ এর অধীনে পৃথক দুটি ভাষণ দেন।
‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।
১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি২০ নয়া দিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।