প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০৭ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রবা ফটো
জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় একটি পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ’আমাদের অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। যখন একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে বিশেষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়, তখন ওই বিষয়টির প্রতি মানুষের নজর নিয়ে আসা যায়, গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেখানে পাবলিক হেলথ বিষয়টিকে এমনিতেই একটু পেছনে ফেলে রাখা হয়, সেখানে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা মোটেই খারাপ না। কারণ এই পাবলিক হেলথের এত রকমের দিক রয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে একটি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম)-এর মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, ’হঠাৎ করোনা এসে আমাদের বুঝিয়ে দিল পাবলিক হেলথটা জরুরি। যখন ধাক্কা খেয়েছি তখন মনে করেছি পাবলিক হেলথ জরুরি। এখন আবার ভুলে যাচ্ছি? নাকি ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি? কিছু একটা ধাক্কা লাগবেই, না হলে পাবলিক হেলথকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আমেরিকাতে পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম, যারা ওখানে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি খোঁজেন তাদের মধ্যে যাদের এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) করা আছে, তাদের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এরা তো হাসপালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করছে, পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছে না। তারা উত্তর দিয়েছিল, যিনি চিকিৎসক তিনি রোগী ফোকাসড, যিনি পাবলিক হেলথ পড়েছেন তার দেখার দৃষ্টিকোণটা ভিন্ন, তিনি পুরো সমাজটাকে দেখেন, পুরো জনগণকে দেখেন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কৌশলসহ সবদিক দেখেন। পাবলিক হেলথের দৃষ্টিকোণ নিয়ে চিকিৎসক হিসেবে যখন কাজ করবেন তখন তিনি অনেক বেশি অবদান রাখেন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ’আমাদের এখানে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না, কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। আমাদের এখন সময় এসেছে, শুধু চিকনগুনিয়া, কোভিড, ডেঙ্গু এলে এদের কথা মনে করব আর বাকি সময় ভুলে থাকব, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এক কোনায় এদের রেখে দেব, সেটা যেন না হয়। পলিসি মেকিংয়ে অবশ্যই পাবলিক হেলথের প্রধান্য থাকবে। আমরা দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে সবচেয়ে ভালো করতে চাই। আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে, পাবলিক হেলথ কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে এক্রিডিটিশনের জন্য।’
তিনি বলেন, ’পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবার অন্যান্য বিষয়ও পড়ায়। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে কোনো না কোনো অসুখ-বিসুখ থাকবে। বিহেভিয়ার চেঞ্জটা সবচেয়ে কঠিন কাজ। সে কারণে আমার মনে হয়, এ রকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে। আমি আশা করতে পারি, এ রকম একটি উদ্যোগ কেউ নেবেন।‘