প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:১৯ এএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৩ এএম
পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) মামলা তদন্তের দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, মামলা তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে তদন্তের মান বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৫ ভাগ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। তিনি বহুল আলোচিত সাগিরা মোর্শেদ, নুসরাত জাহান রাফি ইত্যাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইয়ের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পিবিআই সদর দপ্তরে পরিদর্শন ও মামলা তদন্ত এবং সার্বিক কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, পিবিআই দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে আস্থা অর্জন করেছে। তারা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে মামলা তদন্ত করছে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে উঁচুমান বজায় রেখে জনগণের কাছে পিবিআই যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে, আগামীতে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভার শুরুতে পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বহুল আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনের কথা উল্লেখ করেন, যা সব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া পিবিআইপ্রধান আদালতে দায়েরকৃত সিআর মামলা তদন্তে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি শিশুহত্যার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসানও বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পিবিআইয়ের ডিআইজি (পূর্বাঞ্চল) মোর্শেদুল আনোয়ার খান। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি মাজহারুল ইসলাম, মো. আতিকুল ইসলাম ও আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক; ডিআইজি (প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম, পিবিআইয়ের ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯৭০ জনবল নিয়ে ২০১২ সালে পিবিআই যাত্রা করে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে পিবিআই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ২ হাজার ৩১ জন জনবল নিয়ে দেশব্যাপী খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, প্রতারণা, মানব পাচারহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ তদন্ত করছে পিবিআই।