কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৪ পিএম
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৬ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। ফাইল ফটো
বাংলাদেশকে যারা স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাড়াহুড়ো নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে।
স্যাংশন দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না—প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘অবশ্যই আমরাও স্যাংশন দেব। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব আমরা।’
স্যাংশন কাদের ওপর দেওয়া হবে এবং কী বিষয়ে দেওয়া হবে—প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে তাদের ওপর স্যাংশন দিতে পারি। পারি না? নিশ্চয়ই পারি। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব। তাড়াহুড়ো কিসের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্যাংশন হতে পারে। এগুলো সময়মতো জানবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না বলেও জানান মোমেন। আর ভিসানীতি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তলে-তলে সবার সঙ্গে আপস হয়ে গেছে’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য ভিসানীতির ক্ষেত্রে কোনো আপসের ইঙ্গিত কি না—প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতি নিয়ে কিছু নেই। ভিসা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই, মাথাব্যথার কারণ নেই। আমরা কোনো চাপ অনুভব করি না।’
তিনি বলেন, ’উনি (কাদের) বলেছেন, ওনার কাছে জিজ্ঞেস করেন। ভিসানীতি আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ণ কিছু নয়। উনি (কাদের) ঠিকই বলেছেন। যারা ভিসার জন্য আবেদন করে তাদের জন্য হয়তো দুঃসংবাদ, যদি দুষ্টু লোক হয়। আমেরিকা তো সবাইকে ভিসা দেয় না। কয়েক হাজার লোক বছরে ভিসার জন্য আবেদন করে, এর মধ্যে কত লোককে ভিসা দেয়?‘
বাংলাদেশেরও ভিসানীতি আছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ’ভিসানীতি সব দেশে আছে। আমাদের দেশেও আছে। আমরা সবাইকে ভিসা দিই না। আমরা ব্যক্তি বিশেষ কিংবা কোনো দেশকে কম ভিসা দিই। আমি যেটা বুঝতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির মূল উদ্দেশ্য যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তারা আমাদের সঙ্গে একমত।‘