‘এক মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫২ পিএম
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:২০ পিএম
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। ছবি: ফোকাস বাংলা
শব্দদূষণ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আজ পূর্বঘোষিত ‘এক মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এই এক মিনিটের মতো দেশ একদিন শব্দ দূষণমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশমন্ত্রী।
একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তা সারা দেশে বিস্তৃত করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে এক ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা, দশ ঘণ্টা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শব্দ দূষণমুক্ত করার পর তা ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে যাওয়া হবে।’
রবিবার (১৫ অক্টোবর) শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট রাজধানীর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণী মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধ মন্দির এবং যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আজ শুধু ঢাকা শহরে এক মিনিট শব্দ দূষণমুক্ত কর্মসূচি পালন করলাম। কিছু দিনের মধ্যে সারা দেশব্যাপী এটা করব। সারা দেশকে শব্দ দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। আশা করি, বাংলাদেশের মানুষও শব্দ দূষণমুক্ত করতে এগিয়ে আসবে।’
শব্দ দূষণমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে সবার অনুরোধ করব আপনারা বিষয়টি একটু নীরবে চিন্তা করে দেখেন আপনার একটা হর্নের কারণে একজন মানুষের জীবনে যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে, হার্ট অ্যাটাক করতে পারে বা ছোট ছোট বাচ্চারা আক্রান্ত হতে পারে। হাইড্রোলিক হর্ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশাবাদী, এই বাংলাদেশকে আমরা একদিন শব্দ দূষণমক্ত করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্য দেশে যখন যাই শব্দ দূষণ মেনে চলি। কিন্তু নিজের স্বাধীন দেশে এসে আমরা সেটা মানি না। আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। একটু সচেতন হলে বাংলাদেশকেও দূষণমুক্ত রাখতে পারব।’
বিধিমালা হালনাগাদ করার উদ্যোগ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ জানিয়েছেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এ সংক্রান্ত বিধিমালা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিধিমালা হালনাগাদ করা হবে। বিধিমালা হালনাগাদ করে শব্দের মানমাত্রা পুনঃনির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স চলতে হলে কত ডেসিবেলের সাইরেন তারা সড়কে বাজাতে পারবে, রোগী নেওয়ার সময় বাজাতে পারবে, কিন্তু রোগী না থাকলে পারবে কি না- এসব নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
ফারহিনা আহমেদ আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা মানমাত্রা থাকবে। কনসার্ট, পাবলিক প্লেসে জনসমাগম হলে সেখানে কত মানমাত্রার শব্দ ব্যবহার করতে পারবে তা বলে দেওয়া হবে। শাস্তি, জরিমানা, জেল সবাই থাকবে।’