কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪২ পিএম
ফাইল ছবি
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী (টু প্লাস টু) পর্যায়ে বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এ তথ্য জানিয়েছিলেন। ওই আলোচনা দুই দেশের নিজস্ব ব্যাপার বলে মনে করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে না আসবে, তা এই দুই দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
ব্রিফিংয়ে সেহেলী সাবরিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্যমতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? আপনারা কি মনে করেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ?
জবাবে সেহেলী সাবরিন বলেন, ’’ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। ‘টু প্লাস টু’ সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।’’
মুখপাত্র বলেন, ’ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে না আসবে, তা এই দুই দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
এ ছাড়া ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে অগ্রগতিবিষয়ক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, ’’বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়। প্রত্যাবাসনের শুরু করতে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবে, সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার জন্য ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত টেকনাফে দ্বিতীয় ‘কাম অ্যান্ড টক’ ভিজিটের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়। তারা যেসব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক জবাব দিতে পারেনি, পরে তাদের অবস্থান জানাবে বলে আশ্বস্ত করে। ইতঃপূর্বে মিয়ানমারের আরেকটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করে এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেওয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করে।’’