প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫১ পিএম
বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত মজুরি যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য। তাই তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা বা ২০৮ ডলারের দাবি মেনে নিতে সরকার ও পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) একটি চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের এই সদস্যরা। তাদের মতে, শ্রমিকদের মাসিক ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবি না মানা শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনক।
১৫ ডিসেম্বর এএএফএর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী স্টিভেন ল্যামারের কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমন, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, জ্যান শাকোস্কি, রাউল এম গ্রিহালভা, বারবারা লি, ডেভিড জে ট্রোন, আলেক্সান্ড্রিয়া ওকাসিও-করটেজ ও সুজান ওয়াইল্ড।
চিঠির শুরুতে বলা হয়, আমরা আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে এ চিঠি লিখছি। সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা দিয়ে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এতে শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে পুলিশ সহিংস পথ বেছে নিয়েছে। এতে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়েছেন; শ্রমিকনেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে আটক করা হয়েছে; এমনকি অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিঠিতে তারা বলেন, আমরা প্রতিশোধ, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই সংগঠিত, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও সম্মিলিতভাবে দর-কষাকষির জন্য শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আহ্বানের সঙ্গে একমত।
এর আগে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পর বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় এএএফএ। বিশ্বখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপসহ বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যারের (এএএফএ) সদস্য।
সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ই-মেইলে সেই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া কংগ্রেস সদস্যদের চিঠিতে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া যেন বাইরের কারখানাগুলোর মতো ‘অন্যায্য’ না হয় তাও নিশ্চিত করতে এএএফএকে চাপ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।