× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চলতি বছরে নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫২ জন নিহত

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫২ পিএম

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এসব তথ্য তুলে ধরেন। প্রবা ফটো

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন এসব তথ্য তুলে ধরেন। প্রবা ফটো

চলতি বছরে দেশে নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ৪২ জন ও নির্বাচনী সহিংসতায় ১০ জন নিহত হয়েছে। এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।

রবিরার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩: এমএসএফের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফের) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়কারী মো. টিপু সুলতান।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘সরকার মানবাধিকারের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং যারা এ ব্যাপারে কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে গেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ না দিয়ে বরং অবকাঠামো নির্মাণে বেশি তৎপর হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। বরং যারা এ নিয়ে কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। যখনই মানবাধিকারকর্মীরা এ ব্যাপারে কথা বলেছে তখন একটি বৈরিতার দিকে নিয়ে গেছে। বলা যায়, রাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ব্যবস্থা নেয়নি।’

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সুলতানা কামাল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকারের উদাসীনতায় হতাশা প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রাষ্ট্র যে খুব বেশি মনযোগী হয়েছে, এ কথা আমরা বলতে পারি না। যখন আমরা মানবাধিকারের কথা বলছি সরকার অনেক বেশি ডিফেন্সিভ কথাবার্তা বলেছে, আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলেছে। যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছে তাদেরকে একটি বৈরিতায় জায়গায় নিয়ে গেছে। রাষ্ট্র মানবাধিকার সুরক্ষার কোনো দায়দায়িত্বে নাই। বরং মনে হয়েছে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের বিরক্ত করেছি, তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ কখনো গ্রহণ করেনি।’

সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেই বেশি মনযোগী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজে মানবাধিকারের নীতি বা বোধ জাগাতে তারা সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো কর্মসূচি তাদের নেই। কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেই চলবে, মানুষের মন মানসিকতার উন্নয়নের বিষয়ে তাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই।

মানবাধিকার ইস্যুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি, তাদের অন্তর্নিহিত অনেক দুর্বলতা রয়েছে। যেখানে মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সর্বজনগ্রাহ্য নাগরিক ব্যক্তিত্বদের, সেখানে বছরের পর বছর নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক যে ব্যবস্থাপনা, তাদের যে জনবল, তাদের যে তদন্ত করার ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এ কমিশনের কাজগুলো হওয়ার কথা প্যারিস প্রিন্সিপালের আলোকে, তবে প্যারিস প্রিন্সিপালের নীতিগুলো ফলো করা হয়নি। এ কারণে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী, স্বাধীন কমিশন তৈরি করতে পারিনি।

সাইদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩৮টি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ১০ জন নিহত, ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৫১ জন। নিহতের মধ্যে মার্চে ২জন, এপ্রিলে ৪, মেতে ১ ও ডিসেম্বরে ৩ জন। সবচেরে বেশি আহত হয়েছে ডিসেম্বরে ২৭৯ জন।  এপ্রিলে ৮৪ জন, মার্চে ৭২ ও ফেব্রুয়ারিতে ৬১ জন।

তিনি বলেন, এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪০০টি। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে ফেব্রুযারিতে ৬২টি। জুলাই মাসে ৪২ ও অক্টোবরে ৩৭টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ৪ হাজার ৭৭১ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১৮৬ জন। তাদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৪২ জন। সবমিলিয়ে ৪ হাজর ৯৯৯ জন মানুষ আহত, গুলিবিদ্ধ ও নিহত হয়েছে।

তিনি জানান, চলতি বছরে নির্বাচনী সহিংসতার ১৩৮টি ঘটনায় ১০জন নিহত হয়েছে। মুখোশ পরে গুপ্ত হামলার ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ১৫টি ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। এসময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক অপহরণের অভিযোগ এসেছে ৮৯টি। এ বছরে পুলিশ হেফাজতে ১৭ জন, কারা হেফাজতে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ বছর সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ৬২টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৩ জন। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩২ জন। এ বছর সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমে এসেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৮১, এ বছর তা নেমে এসেছে ৬৩-তে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা