প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৩ পিএম
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা পায়ে ডান্ডাবেড়ি আটকানো অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এমএসএফ (মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন)। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল মৃধা রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। বাবার জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য গত ১৩ জানুযারি তিনি পাঁচ ঘণ্টার জন্য মুক্তি পান। তাকে ডান্ডাবেড়ি পায়ে নিয়েই জানাজায় অংশ নিতে হয়। এমএসএফের বক্তব্য, মামলা চলমান থাকায় তাকে দেশের ফৌজদারি আইনে অপরাধী বলা যায় না। তারপরও তাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে, যা জনমনে বিরূপ প্রাতক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গাজীপুরে আলী আজম ও ২০২৩ সালের জানুয়ারি শরীয়তপুরে সেলিম রেজাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে পুলিশ পাহারায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কারাগারে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পর ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চালেঞ্জ করে গত বছর ২৪ জানুযারি হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন। রুলে ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে দেখা গেছে, আদালত এ সংক্রান্ত রুল জারি করলেও তার উত্তর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এমএসএফ মনে করে, এতে মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রের উদাসীনতা প্রকাশ পায়।
এমএসএফ মনে করে, হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর মতো একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মানবাধিকারের প্রতি সম্মান না দেখানোর শামিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। বরং সংবিধান অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানো অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না। এমএসএফ এ ঘটনাটিকে অত্যন্ত নিন্দনীয়, উদ্বেগজনক ও অনভিপ্রেত বলে মনে করে এবং অনতিবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায়।