তিন দফা সময় বাড়িয়েও সাড়া মেলেনি হজ নিবন্ধনে

তৃতীয় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে হজযাত্রীদের সাড়া মেলেনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টায় নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১১৫ জন। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের। 

গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপরও নিবন্ধনে মিলেনি কাঙ্ক্ষিত সাড়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না। 

হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত বছরও নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় আট দফা সময় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যায়। এখনও কোটার ৭৪ হাজার ৮৩ জনের নিবন্ধন বাকি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম জানান, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে, তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগ্রহী হজযাত্রীরা শুরুতে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন এবং প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। 

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।