প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২৫ পিএম
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন শহীদ আসাদ দিবস। শনিবার (২০ জানুয়ারি) আসাদুজ্জামান আসাদের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৯ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। আসাদ ছিলেন নরসিংদীর সন্তান। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে যোগ করে নতুন মাত্রা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে বেগবান করে। জুলুম উপেক্ষা করে স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। স্বৈরশাসক আইয়ুব ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সব সময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে। তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ওয়ার্কাস পার্টির আয়োজনে আজ বেলা ১১টায় শহীদ আসাদ মিলনায়তনে ‘আসাদ ও গণঅভ্যুথান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।