প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩০ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি
বন্য প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডার’ কার্যক্রমে চলতি মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্য প্রাণী রক্ষা ও পাচার প্রতিরোধসংক্রান্ত ঘটনা শনাক্তে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চসংখ্যক সাফল্য অর্জন করেছে। বন্য প্রাণী রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
বন্য প্রাণীর বিলুপ্তি ও পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা বৈশ্বিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইন্টারপোল আন্তর্জাতিকভাবে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী ‘অপারেশন থান্ডার ২০২৩’ শিরোনামে ইন্টেলিজেন্স-লেড অপারেশন পরিচালনা করে।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮(ক) অনুযায়ী পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিধান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ পুলিশও উক্ত কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণী রক্ষায় ও অবৈধভাবে পাচার প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক নজরদারির ভিত্তিতে ‘অপারেশন থান্ডার ২০২৩’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিলুপ্ত বন্য প্রাণী রক্ষায় এবং অবৈধভাবে পাচারের সময় ২০২৩ সালে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, ফেনীসহ দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য ২৪টি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিপন্ন প্রজাতির ভল্লুক শাবক, হগ ব্যাজার (গোর খোদক), হনুমান, উল্লুক, সুন্ধি কাছিম, রাজধনেশ, কোকিল, টিয়া, ময়না, কাঠবিড়ালি, পেঁচা, লজ্জাবতী বানরসহ অন্যান্য প্রাণী উদ্ধার করা হয় এবং বন বিভাগের সহায়তায় অবমুক্ত করা হয়।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করা হয়।
অবৈধভাবে বন্য প্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির বন্য প্রাণী সংগ্রহ করে থাকে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে (খুলনা-সাতক্ষীরা) উক্ত বন্য প্রাণী পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।